মেলা দেখতে ভিড় জমালেন হাজার-হাজার মানুষ পঞ্চায়েত আধিকারিকের অনুমতি নিয়েই মেলার আয়োজন লকডাউনের মধ্যেই কর্ণাটকের এক গ্রামে বসেছিল এই মেলা কয়েকদিন আগে মধ্যপ্রদেশের বান্দা শহরেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে

করোনা আক্রান্তের তালিকায় এবার চিনকে পেছনে ফেলে দিতে চলেছে ভারত। দেশে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদনই তিন হাজারের বেশি লোক সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তারপরেও সচেতনতার অভাব চোখে পড়ছে আশেপাশে। তেমনই এক ঘটনা দেখা গেল কর্ণাটকের রামানগরা এলাকার কোলাগন্ডানাহল্লি গ্রামে। যেখানে লকডাউনের মধ্যেই মেলা দেখতে ভিড় জমালেন বিপুল সংখ্যাক মানুষ।

দেশে ২৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে লকডাউন। বর্তমানে তৃতীয় দফার লকডাউন চলছে গোটা দেশে। সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৭ মে। কিন্তু এখনও তেমন ভাবে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি গোটা দেশে। ১৭ মের পর দেশে চতুর্থদফার লকডাউন শুরু হবে বলে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খুব শীঘ্রই এই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শোনা যাচ্ছে আবেরর লকডাউনে অনেক পরিবর্তন আনা হবে। কিন্তু তার আগেই চমকপ্রদ ঘটনা ঘটে গেল কোলাগন্ডানাহল্লি গ্রামে। মেলা দেখতে সামাজিক দূরত্বের বিধিতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভিড় জমালেন হাজার হাজার মানুষ। 

Scroll to load tweet…

জানা যাচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসীদের এভাবে মেলায় জড়ো হওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন পঞ্চায়েতের উন্নয়ন আধিকারিক এনসি কলমাটে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই চাপে পড়ে যায় স্থানীয় প্রশাসন। অবস্থা সামাল দিতে তহসিলদারের থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরেই রামানগারার পুলিশ কমিশনার ওই পঞ্চায়েত আধিকারকিকে সাময়িক বরখাস্ত করে দেন। 

এবার চিনকে ছাড়িয়ে যেতে চলল ভারত, আক্রান্তের সংখ্যা ৮২ হাজারের দোড়গোড়ায়

কেদারের পর এবার খুলে গেল বদ্রীনাথের দরজা, ভারো সাড়ে ৪টায় বেদমন্ত্রের সঙ্গে হল দ্বার উদঘাটন

মৃত্যু মিছিলে স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল ফ্রান্স, গোটা বিশ্বে মারণ ভাইরাসের বলি ৩ লক্ষের বেশি

সম্প্রতি এমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে মধ্যপ্রদেশও। গত মঙ্গলবার এখানকার সাগর জেলায় এক জৈন সাধু ও তাঁর শিষ্যদের স্বাগত জানাতে সামাজিক দূরত্বের বিধি অগ্রাহ্য করে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। দেশে যে রাজ্যগুলিতে করোনার সংক্রমণ বেশি দেখা গিয়েছে, তার অন্যতম মধ্যপ্রদেশ। যাঁরা লকডাউন ভেঙে ওই জমায়েতের আয়োজন করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে স্থানীয় প্রশাসন। 

মহামারীকে বাগে আনতে দেশে চলছে লকডাউন, জারি রয়েছে ১৪৪ ধারাও। একসঙ্গে সমাবেশ করার বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তারপরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এদেশে করোনা সংক্রমণে ২,৬৪৯ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।