সংক্ষিপ্ত

সাইবার হামলা বেড়েছে প্রায় ৩০০ শতাংশ

মঙ্গলবার সংসদে ভয়ানক তথ্য জানালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

কী ব্যবস্থা নিচ্ছে মোদী সরকার

কারা চালালো হামলা

গত বছর সারা দেশ যখন কোভিড মহামারিতে প্রায় স্তব্ধ, সেই সময় ভারতে সাইবার হামলা প্রায় ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংসদে এই ভয়ানক তথ্যই জানালো। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম বা সিইআরটি-ইন (CERT-In)-এর তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে যেখানে সাইবার হামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৩,৯৪,৪৯৯, সেখানে ২০২০ সালে দেশে মোট সাইবার হামলা হয়েছে ১১,৫৮,২০৮টি!

ভারতের বিদ্যুত সরবরাহ কেন্দ্রে এবং কোভিড -১৯ টি ভ্যাকসিন সরবরাহকারী একটি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে এদিন সংসদে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশন রেড্ডি। সিইআরটি-ইন-এর নজরে কোনও সন্দেহজনক ঘটনা আসলেই, প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি এবং সেক্টরাল সিইআরটি-কে সতর্কতা এবং পরামর্শ দেয়, বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সমস্ত সরকারী ওয়েবসাইট এবং অ্যাপগুলি হোস্টিংয়ের আগে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলি ভাল করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এছাড়া, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সাইবার আক্রমণ মোকাবিলার জন্য একটি সাইবার ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের সমস্ত মন্ত্রক ও বিভাগে প্রয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন - মমতা, আব্বাস না বিজেপি - কোথায় যাবে মুসলিম ভোট, বাংলার নির্বাচনে এবার সবথেকে বড় ধাঁধা

আরও পড়ুন - বিজেপির হাত ধরে বঙ্গে মাথা তুলছে নিম্নবর্ণের হিন্দুত্ব, বাংলা কি শিখবে রাজনীতির নতুন ভাষা

আরও পড়ুন - শেষ বাজারে আচমকা মমতার হিন্দুত্বের তাস, নির্বাচনে কতটা সুবিধা দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে

তবে কারা এই হামলাগুলি চালিয়েছে, এর পিছনে চিনের হাত আছে কি না - সেই সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি কেন্দ্র। তবে সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সাইবার হামলার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, সম্ভবত মহামারির সঙ্গেই সম্পর্কিত। কারণ, কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় যে লকডাউন জারি করা হয়েছিল, সেই সময় স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকরা অনলাইনে বেশি সময় কাটিয়েছিলেন। তাই সাইবার হামলাকারীদের হাতে সুযোগও বেশি এসেছে। তবে ফিশিং এবং ম্যালওয়ার হামলাগুলির জন্য ভারতীয়দের সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।