সংক্ষিপ্ত
- ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের নামকরণ করেছে পাকিস্তান
- নামকরণের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পদ্ধতি
- তালিকায় পড়ে রয়েছে আরও মাত্র দু'টি নাম
নাম বুলবুল। কিন্তু তার রূপ হতে চলেছে ভয়ঙ্কর। আবহ দফতরের সতর্কবার্তা অন্তত সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বলছে, ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে স্থলভূমিতে আছড়ে পড়তে পারে বুলবুল। কিন্তু যে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের ভয়ে কাবু গোটা রাজ্য, সেই বুলবুলের নামকরণ হল কীভাবে?
আবহ দফতর জানিয়েছে, সর্বশেষ এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছে পাকিস্তান। কয়েকদিন আগে আরব সাগরের উপরে ঘনীভূত আরও এক ঘূর্ণিঝড় মহা-র নামকরণ করেছিল ওমান। আবার এ বছরের সবথেকে বড় ঘূর্ণীঝড় ফণী-র নামকরণ করেছিল বাংলাদেশ।
কিন্তু কীভাবে হয় এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ?
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড মেটেওরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টে (ডব্লিউএমও)- র নির্দেশিকা মেনেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ হয়। যে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে, সেখানকার দেশগুলি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নামকরণ করে।
আরও পড়ুন- সতর্ক থাকলেই পালিয়ে যাবে বুলবুল, আশাবাদী কলকাতার মেয়র
আরও পড়ুন- বাংলাতেই আঘাত হানবে বুলবুল, ১৩৫ কিলোমিটার গতিতে তছনছ হতে পারে সুন্দরবন
২০০০ সালে ডব্লিউএমও সিদ্ধান্ত নেয়, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগর সংলগ্ন আটটি দেশ ওই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ করবে। এর পরে দীর্ঘ আলোচনার পরে ২০০৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নামকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই পদ্ধতিতে প্রথমবার নামকরণ করা হয় গুজরাত উপকূলে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ওনিল- এর।
ভারত ছাড়াও তালিকায় বাংলাদেশ, মলদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড। আটটি দেশের ইংরেজি নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী পালা করে নাম দেওয়া হয়। নাম চূড়ান্ত করে নতুন দিল্লিতে অবস্থিত রিজিওনাল স্পেশ্যালাইজড মেটেওরোলজিক্যাল সেন্টার।
এখনও পর্যন্ত যে ঘূর্ণিঝড়গুলির নামকরণ হয়েছে, তার মধ্যে অগ্নি, আকাশ, বিজলি, জল, লেহার এবং বায়ু-র নামকরণ করেছে ভারত। সবমিলেয়ে আটটি দেশ এখনও পর্যন্ত ৬৪ টি নাম দিয়েছে। তার মধ্যে ৬১ টি নামই ব্যবহৃত হয়েছে। যে তিনটি নাম বাকি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পাকিস্তানের দেওয়া বুলবুল। বাকি দু' টি হল পবন (শ্রীলঙ্কা) এবং অম্ফন (থাইল্যান্ড)।
এই নামের তালিকা শেষ হলেই ফের এই আটটি দেশ মিলে বৈঠক করে নতুন নাম প্রস্তাব করবে। এর পর তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড়ের নতুন নামের তালিকা। কিন্তু সেই তালিকায় ইতিমধ্যে ব্যবহৃত নামগুলির পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম।