প্রবল গতিতে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণী ঝড় তাউতে  আছড়ে পড়বে গুজরাত উপকূলে  এদিন রাত ১১টার মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা  দুর্যোগ মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন 

মুম্বইয়ে তাণ্ডব চালিয়ে প্রবল গতিতে গুজরাত উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণীঝড় তাউতে। সোমবার রাতেই স্থলভাগে প্রবেশ করে পোরবন্দর ও মহুভায় উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণী ঝড় তাউতে। বিশেষজ্ঞদের কথায় গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে এজাতীয় প্রবল ঘূর্ণী ঝড়ের মোকাবিলা করেনি দক্ষিণ গুজরাত। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান মেটোরলিক্যাল ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। রাত ৮টা২৫ এ আইএমডি জানিয়েছে ঘূর্ণী ঝড়ের অবস্থান রয়েছে মুম্বই থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর পশ্চিমে। দিউ থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 

Scroll to load tweet…


ঘূর্ণীঝড় মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন দিউ প্রশাসনের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাঠাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Scroll to load tweet…

গুজরাতের খোলা হয়েছে তাউতে কন্ট্রোলরুম।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আর মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই ঘূর্ণী ঝড় আছড়ে পড়তে পারে। আর সেই কারণে প্রবল সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। গুজরাতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার বাহিনীর ৫৪টি দল কাজ করেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। বিলি করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীও। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানী রাজ্যের সকল নাগরিককে বাড়িতে থাকতে আবেদন জানিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়া কোনও ব্যক্তি যাতে বাড়ির বাইরে না বার হন সে দিকে প্রশাসনকে নজর রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন। কোভিড হাসপাতালগুলিতে বিশেষ বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ যাতে অব্যাহত তাকে সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন পাঠান হচ্ছে গুজরাতে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ১৮০টি দলকে মোতায়েন রাখা হয়েছে। 

Scroll to load tweet…

এদিন মহারাষ্ট্রে রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণীঝড় তাউতে। মহারাষ্ট্রের কোঙ্কন উপকূলবর্তী একায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিন তাউতে যখন মুম্বই সংলগ্ন এলাকায় দিয়ে যায় তখন সেখানে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার। বেশ কিছু এলাকায় জল জমে গেছে। প্রায় বিপর্যস্ত বাণিজ্য নগরী। বিকেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিমান বন্দর । সাময়িক বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। অন্যদিকে কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণীঝড়ের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।