সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নয়া বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে নয়া বেঞ্চ গঠন করে ডিএ মামলার শুনানি হবে।

সোমবার ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট ডিএ মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন হিসেবে ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। তবে সেদিনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নয়া বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে নয়া বেঞ্চ গঠন করে ডিএ মামলার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, আপাতত সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন অবসর চলছে। সেইসময় সুপ্রিম কোর্টে অবসরকালীন বেঞ্চ নেই।

গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠেছিল। কিন্তু সেদিন ডিএ মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত (বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরীর পরিবর্তে ওই বেঞ্চে বিচারপতি দত্ত আসেন। সেদিন বিচারপতি দত্ত জানান, বিচারপতি মাহেশ্বরীর জায়গায় ডিএ মামলার বেঞ্চে তিনি আসার পরই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অতি উৎসাহের সঞ্চার হয়েছিল। তাই সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান বিচারপতি দত্ত।

রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাই কোর্টের রায় মেনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দিতে হলে খরচ হবে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাই কোর্টের ডিএ-রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০ মে কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, পরের তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রাজ্য সরকারকে। যার জেরে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না-দেওয়ায় হাই কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেও রাজ্য ধাক্কা খাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে এ বার মামলা শুনবে দুই বাঙালি বিচারপতির বেঞ্চ।

রবিবার এই মামলার জন্য দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন মামলার সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরা। তাদের দাবি বিচারের রায় তাদের দিকেই থাকবে। রাজ্য সরকারের এসএলপি খারিজ করবে সুপ্রিম কোর্ট, এমনই আশা করছেন তাঁরা।