সংক্ষিপ্ত
জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-এর হাতে আটক দাউদ ইব্রাহিমের ভাগ্নে আলিশাহ পার্কার। সে হাসিনা পার্কারের ছেলে। দাউদ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।
আবারও বিয়ে করেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম। তার দ্বিতীয় স্ত্রী পাকিস্তানের পাঠান। তেমনই দাবি করেছেন দাউদ ইব্রাহিমের ভাগ্নে আলিশাগ পার্কার। আলিশাহ পার্কার আবার দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ছেলে। সম্প্রতি আলিশাহকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা। এনআইএর কাছে দাউদের পরিবার সম্পর্কে আলিশাহ বিস্তারিত জানিয়েছে বলে সূত্রের খবর। আলিশাহ বলেছে, দাউদের প্রথম স্ত্রী এখনও বিশ্বের অনেকের সঙ্গেই টেলিফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখে। সে হোয়াটসঅ্যাপ কলও করে। প্রয়োজনে ভিডিও করে দাউদের প্রথম স্ত্রী। দাউদ গোটা পরিবার নিয়ে পাকিস্তানে রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে আলিশাহ পার্কার।
এনআইএ-র দায়ের করা সন্ত্রাসবাদে অর্থ সংগ্রহের একটি মামলার চার্জশিটে সংস্থার দাবি আলিশাহ পার্কার দাউদ ইব্রাহিমের পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। সে জানিয়ে দাউদ বর্তমানে করাচির বাসিন্দা। এনআইএ দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্টদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদের জন্য অর্থ সংগ্রহ মামলা বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
এনআইএ সূত্রের খবর বর্তমানে দাউদ ইব্রাহিম একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। যা দেশের বড় নো ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালাতে পারে। কয়েকটি বড় শহরে নাশকতারও ছক রয়েছে দাউদ ঘনিষ্টদের। দেশে হিংসাও ছড়াতে পারে তারা। এই মামলার তদন্তের সময়ই জাতীয় তদন্ত সংস্থা দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ছেলেকে গ্রেফতার করেছিল। তারই বয়ান রেকর্ড করেছে। আলিশাহের বিবৃতি অনুযায়ী দাউদরা চার ভাই ও এক বোন। সে আরও জানিয়েছে দাউদ পাকিস্তানে গিয়ে একটি বিয়ে করেছে , সেই স্ত্রী পাঠান। তবে দাউদ দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য তার প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনকে কখনই তালাক দেয়নি।
দাউদ পাকিস্তানে গিয়ে একাধিকবার ঠিকানা বদলল করেছে। বর্তমানে সে থাকে করাচিক আবদুল্লাহ দাবী বাবা দরগার পিছনে অবস্থিত রহিম ফাকির কাছে ডিফেন্স কলোনিতে। দাউদ ইব্রাহিম কাসকর, হাজী আনিস ওরফে আনিস ইব্রাহিম শেখ এবং মুমতাজ রহিম ফাকি সকলেই একই সঙ্গে থাকে। আলিশাহ আরও জানিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম কারও সঙ্গে তেমনভাবে যোগাযোগ রাখে না।
আলিশাহ এনআইকে আরও জানিয়েছেন ২০২২ সালে জুলাই মাসে সে দাউদ পাকিস্তান থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময় সে দুবাইতে তার প্রথম স্ত্রী মাইজাবিনের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। দাউদ দুবাইয়ে হামিদ আন্তুলয়ের বাড়িতে ছিল। আলিশাহ আরও জানিয়েছে, দাউদের প্রথম স্ত্রী মাইদাবিনের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সে তাকে ফোন করে। দাউদের স্ত্রী হোয়াটঅ্যাপ কলের মাধ্যমেও তার সঙ্গে কথা বলে।
আলিশাহ দাউদ ইব্রাহিমের ভাইদের সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। সে বলেছেন ১৯৮৩-৮৪ সালে মুম্বইয়ের গ্যাংওয়ার চলাকালীন মারা গিয়েছিল সাবির ইব্রাহিম। তার স্ত্রীর নাম শেনাজ। দুই সন্তান- শিরাজ ও শাহজিয়ার মা সে। তবে কোভিড আক্রান্ত হয়ে শিরাজ মারা গিয়েছিল ২০২০ সালে। সেই সময় সে মায়ের সঙ্গে পাকিস্তানে থাকত। আর শাহজিয়া তার স্বামী মোজ্জমখানের সঙ্গে আগ্রিপাদায় খারে। মোজ্জাম একজন বড় জমির দালাল।
সাত-আট বছর আগে পাকিস্তানে নুরা ইব্রাহিম কাসকার মারা যান। তার প্রথম স্ত্রীর নাম শফিকা তিনিও মারা যান। পাকিস্তানে বসবাসরত রেশমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন তিনি। শফিকার একটি মেয়ে রয়েছে যার নাম সাবা। সোহেল ও সরফরজ পাকিস্তানের বাসিন্দা। অন্যদিকে পাঁচ বছর ধরে থানে কারাগারে বন্দি ইকবাল কাসকারের স্ত্রী রিজওয়ানা দুবাইতে থাকে। পাঁচ সন্তার তাগের । মেয়ে হাফসা দুবাইতে, জারা স্পেনে আইমান দুবাইতে থাকে। ছেলে রিজওয়ান বন্দি মুম্বইয়ের আর্থাররোড জেলে। আরেক ছেলে আবান দুবাইতে থাকে।
পরিবারের বাকি সদস্যদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছি। তার নিজের বাবা-মা যে মারা গেছে সে সম্পর্কেও জানিয়েছে সে। পাশাপাশি দাউদ-ভাইদের সন্তানরা বর্তমানে কোথায় রয়েছে, কার সঙ্গে বিয়ে করেছে তাও বিস্তারিত জানিয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ
প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি, এখনও ডুবছে যোশীমঠ- দেখে নিন ১০টি খবর