সংক্ষিপ্ত

মণিপুর পৌঁছেই স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংএর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের যৌন নিপীড়িত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান।

 

মণিপুরের মহিলাদের যৌন নিগ্রহের ঘটনা নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে যখন গাফিলতের অভিযোগ উঠেছে সেই সময়ই দিল্লিত মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল রবিবার হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর পৌঁছেছেন। যদিও আগেই মণিপুর সরকার তাঁর সফরের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে। এই ঘটনার মাত্র এক দিনের মাথাতেই স্বাতী মালিওয়াল সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন।

মণিপুর পৌঁছেই স্বাতী মালিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংএর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন। পাশাপাশি রাজ্যের যৌন নিপীড়িত মহিলাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এখানেই শেষ নয়, স্বাতী মালিওয়াল আরও একধাপ এগিয়ে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর সফরের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিশু ও মহিলা উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকেও হিংসা বিধ্বস্ত রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সেখানে যাওয়ার অহ্বান জানিয়েছেন।

মণিপুর পৌঁছেই স্বাতী মালিওয়াল টুইট করে বলেছেন, এই মাত্র তিনি মণিপুর পৌঁছেছেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন। তিনি আশা করছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর আবেদনে দ্রুত সাড়া দেবেন। তিনি ইম্ফল বিমানবন্দরে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, যৌন নিপীড়িত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতেন চানা। তাঁদের আইনি সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়ও কথা বলতে চান। তারা কোনও ক্ষতিপুরণ পেয়েছে কিনা তাও জানতে চান। তিনি রাজ্য সরকারকে মণিপুরের নীপিড়িত মানুষেক পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বাতি মালিওয়াল আরও বলেন, তিনি মণিপুরে রাজনৈতি করতে আসেননি। তিনি শুধুমাত্র নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েই দিল্লি থেকে মণিপুর এসেছেন। তিনি মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে কথা বলার চেষ্টা করবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও আগেই রাজ্য সরকার তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল।

মণিপুরের দুই মহিলাকে নগ্ন অবস্থায় জোর করে রাস্তা দিয়ে হাঁটানোর প্রতিবাদ আগেই জানিয়েছিলেন স্বাতি মালিওয়াল। এবার তিনি সরাসরি মণিপুরে পৌঁছে নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়াতে চান বলেও জানিয়েছেন। যদিও আর আবেদনে রাজ্য সরকার কতটা সাড়া দেবে তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

গত তিন মে থেকে জাতিগত হিংসায় উত্তপ্ত হচ্ছে মণিপুর। ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ট মেইতিদের সঙ্গে পাহাড়ের দখলদার কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে। এই পর্যন্ত জাতিগত হিংসায় প্রায় ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেইতি সম্প্রদায়ের তফশিলি উপজাতির দাবি জানালে প্রতিবাদে সরব হয় কুকি সম্প্রদায়। তাতেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাহাড়ের দখলদারিত্ব বজায় রাখার জন্য সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। টানা দুই মাস ধরে হিংসা চলার পরি দিন কয়েকের জন্য পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ড হয়েছিল। চালু করা হয়েছিল ইন্টারনেট। কিন্তু ইন্টারনেট চালু হওয়ার পরেই মণিপুরে হিংসার একাধিক ভিডিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যারমধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল মহিলারদের নগ্ন করে রাস্তা দিয়ে জোর করে হাঁটানো। এদিন এই ঘটনার প্রতিবাদে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে ইম্ফলে সরব হয় মহিলারা।