সংক্ষিপ্ত

সমালোচনা করে বিপাকে শৌর্য চক্র সম্মান প্রাপ্ত কলোনেল দীপক পিল্লাই। টুইট করে এদিন দীপক পিল্লাই বলেন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ স্বাধীন ভারতের বীর জওয়ানদের প্রকৃত সম্মান জানানোর সামিল।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে (1971 Liberation War of Bangladesh) শহিদ হওয়া জওয়ানদের (Jawan) প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি করা হয়েছিল অমর জওয়ান জ্যোতি। আর স্বাধীনতার পর শহিদ হওয়া দেশের সব বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে ২০১৯ সালে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল তৈরি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ইন্ডিয়া গেটের কাছে ভারতের শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে জ্বলছে ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’-র  আগুন। এবার সেই আগুনের শিখা স্থানান্তরিত করা হবে। তা নিয়ে যাওয়া হবে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে (National War Memorial)।

কেন্দ্রের (Narendra Modi Govt) এই সিদ্ধান্তকে (Desicion) স্বাগত জানালেও অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti) বানানোর পিছনে যে কারণ ছিল, তার সমালোচনা (Critisism) করে বিপাকে শৌর্য চক্র (Shourya Chakra) সম্মান প্রাপ্ত কলোনেল দীপক পিল্লাই (Col Dipak Pillai)। টুইট করে এদিন দীপক পিল্লাই বলেন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে অমর জওয়ান জ্যোতির অগ্নিশিখা নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ স্বাধীন ভারতের বীর জওয়ানদের প্রকৃত সম্মান জানানোর সামিল। কারণ অমর জওয়ান জ্যোতি মূলত সম্মান জানিয়েছে সেই সব সেনাদের যারা ব্রটিশদের জন্য লড়াই করেছিল, ভারতের জন্য নয়। 

ঔপনিবেশিক দাসত্বের প্রতীক হিসেবে অমর জওয়ান জ্যোতি ছিল। তবে ওয়ার মেমোরিয়াল দেশের বীর সন্তানদের প্রাণের নায্য সম্মান দিয়েছে। তবে এই টুইটের পরে বেশ সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই বলেন প্রত্যেক সেনা নিজের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করেন। কার জন্য বা কার হয়ে লড়ছেন, সেটা বড় কথা নয়। তাঁদের বীরত্বই শেষ কথা। পরে এই টুইট ডিলিট করে দেন তিনি।  এরপরেই টুইট করে ক্ষমা চান দীপক পিল্লাই। তিনি বলেন তাঁর নিজের দাদুও ব্রিটিশ সেনায় ছিলেন। তারজন্য তিনি গর্বিত। তবে কাউকে আঘাত করার জন্য কিছু বলতে চাননি তিনি।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশের রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নৌবাহিনী, বায়ুসেনা ও স্থলসেনার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতেন নরেন্দ্র মোদীও। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, অমর জওয়ান জ্যোতির যে আগুন জ্বলছে তার মাধ্যমে ১৯৭১ সাল ও অন্য যুদ্ধগুলিতে শহিদ হওয়া জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। কিন্তু, সেখানে ১৯৭১ সাল ছাড়া আর অন্য কোনও যুদ্ধে শহিদ জওয়ানদের নাম নেই। 

ইন্ডিয়া গেট তৈরি করেছিল ইংরেজরা। এই স্থাপত্য ঔপনিবেশিক শাসনেরই ধারক বাহক বলে দাবি করেছে কেন্দ্র। তাদের যুক্তি, ‘ইন্ডিয়া গেটে যে মুষ্টিমেয় শহিদের নাম খোদাই করা রয়েছে, তাঁরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে এবং ইন্দো-আফগান যুদ্ধে ব্রিটিশদের হয়ে লড়াই করতে গিয়ে শহিদ হন। তাই ইন্ডিয়া গেট ঔপনিবেশিক শাসনেরই প্রতীক।