ধোঁয়াশার চাদরে মোড়া আকাশ, রাজধানীর বাতাসে স্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়ছে দিল্লিবাসীর
Delhi Air Pollutions: শীতের শুরুতেই ধোঁয়াশায় ঢেকেছে দিল্লির আকাশ-বাতাস। অতিরিক্ত বায়ুদূষণে শ্বাস নেওয়ায় দায় হয়ে উঠেছে দিল্লিবাসীর। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

বায়ু দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি
বায়ু দূষণ মানেই দিল্লি। দিওয়ালির পর থেকেই ধোঁয়ার চাদরে ঢেকেছে দিল্লি। শীতের শুরুতেও বাতাসের গুণমানে তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্য বলছে, বুধবার পর্যন্ত দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) এদিন দাঁড়িয়েছে ২৩০। রাজধানী দিল্লিতে বুধবারও হালকা কুয়াশার চাদর দেখা গিয়েছে, যদিও বায়ু মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শহরের সামগ্রিক বায়ু মান ‘খুবই খারাপ’ স্তর থেকে নেমে ‘খারাপ’ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
বাতাসের মানে বাড়ছে উদ্বেগ
রাজধানী দিল্লির বাতাসে দূষণের মাত্রা এখনও উদ্বেগজনক। বুধবার সকালে ITO ও অক্ষরধাম এলাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ২৮১-এ পৌঁছে গিয়েছে। যা মঙ্গলবার সন্ধ্যার ২৯১ থেকে কিছুটা কম হলেও স্বাস্থ্যকর মাত্রার অনেক উপরে। এই সপ্তাহে টানা তিন দিন ‘‘অতি খারাপ’’ বায়ুদূষণের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে দিল্লি। রবিবার শহরের সামগ্রিক AQI ছিল ৩৬৬, সোমবার তা নেমে আসে ৩০৯-এ। দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রাজধানীর বাতাসে উদ্বেগে ভুগছে দিল্লিবাসী।
দিল্লির বায়ুদূষণ
দিল্লির বায়ুদূষণ পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। শহরের কয়েকটি মনিটরিং স্টেশনে বিপজ্জনক মাত্রার বায়ুদূষণ নথিভুক্ত হয়েছে। আলিপুর, ওয়াজিরপুর, বাওয়ানা এবং আনন্দ বিহারে মঙ্গলবার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৪০২ থেকে ৪২১-এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়, যা “অতিশয় বিপজ্জনক” শ্রেণির মধ্যে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মাত্রার দূষণ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে শিশু, প্রবীণ এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগীদের জন্য।
দিল্লির বায়ুদূষণ
দীপাবলির পর হাওয়ার গতি কমে যাওয়া এবং তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়াকেই রাজধানীর বায়ুদূষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন পরিবেশ বিভাগের কর্মকর্তারা। অক্টোবর ২০-এ দীপাবলি পালনের পর থেকেই দিল্লির বায়ুর মান “খারাপ” থেকে “অতি খারাপ” মাত্রার মধ্যে ওঠানামা করছে। ঘন ধোঁয়াশা এবং স্থির বাতাসের কারণে দূষণকণা মাটির কাছেই আটকে থাকছে, ফলে শহরের আকাশ থেকে স্মগের চাদর এখনো কাটছে না।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ
কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM) জানিয়েছে, এ বছর খড় জ্বালানোর ঘটনা আগের মরসুমের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে পাঞ্জাবে ২,৫১৮টি এবং হরিয়ানায় ১৪৫টি খড় পোড়ানোর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের ৪,১৩২ এবং ৮৫৭টির তুলনায় অনেক কম। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে ২,২০০-র বেশি ক্ষেত পরিদর্শন করেছে এবং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে মোট ৫৫.৭৫ লাখ টাকা পরিবেশ ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
