দিল্লি বিস্ফোরণের সহ-ষড়যন্ত্রকারী দানিশের ফোন থেকে পাওয়া ড্রোন এবং রকেট ভিডিও হামাসের মতো জঙ্গি হামলার ছক সামনে এনেছে। এনআইএ জানিয়েছে যে পরিবর্তিত ড্রোনগুলি ২৫ কিমি পর্যন্ত উড়তে পারত এবং বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
নয়াদিল্লি। দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে একটি নতুন মোড় এসেছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) দিল্লি বিস্ফোরণের অভিযুক্ত সহ-ষড়যন্ত্রকারী জাসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশের ফোন থেকে এমন কিছু প্রমাণ উদ্ধার করেছে, যা হামাসের মতো জঙ্গি হামলার প্যাটার্ন প্রকাশ করেছে। দানিশ ভেবেছিল যে সে ড্রোন এবং রকেট লঞ্চারের ডিলিট করা ছবিগুলি মুছে ফেলেছে, কিন্তু তদন্তকারী দল সেগুলি খুঁজে বের করেছে।
ড্রোন ছবিগুলো কি নতুন ষড়যন্ত্রের পথ দেখিয়েছে?
তদন্তকারীরা দানিশের ফোনের ডিলিট করা ফোল্ডারে কয়েক ডজন ড্রোন এবং রকেট লঞ্চারের ছবি ও ভিডিও খুঁজে পেয়েছেন। এই ছবিগুলো শুধু হামাসের অস্ত্রের প্যাটার্নই তুলে ধরে না, বরং এটাও দেখায় যে দানিশ এবং তার সহ-ষড়যন্ত্রকারীরা প্রযুক্তিগতভাবে কীভাবে আরও বড় এবং শক্তিশালী ড্রোন তৈরির চেষ্টা করছিল। ভিডিওতে দেখানো হয়েছে কীভাবে ড্রোনে বিস্ফোরক লাগানো হয় এবং কীভাবে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
এই ড্রোন পরিকল্পনা কতটা বিপজ্জনক ছিল?
সূত্র অনুযায়ী, দানিশ এমন মডিফায়েড ড্রোন তৈরিতে পারদর্শী ছিল, যা ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে এবং ভারী বোমা বহন করতে পারত। তদন্তে আরও জানা গেছে যে জঙ্গিরা গ্লাইডিং রকেটের মতো অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছিল। ইন্ডোউইংসের সিইও পারস জৈনের মতে, এই রকেটগুলি মাটি বা হাত থেকে ছোড়া যায় এবং এক মিনিটে তিনটি ফায়ার করা সম্ভব। এর মানে হল, কম খরচে এবং একটি বড় এলাকাকে প্রভাবিত করে হামলা চালানো যেত।
কে এই দানিশ এবং তার ভূমিকা কী ছিল?
দানিশ জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বাসিন্দা। এনআইএ-র বিবৃতি অনুসারে, সে দিল্লি বিস্ফোরণের একজন সক্রিয় সহ-ষড়যন্ত্রকারী ছিল এবং জঙ্গি উমর উন নবির সাথে মিলে ড্রোন ও রকেটের পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। তার অস্ত্রবাহী ড্রোন তৈরির অভিজ্ঞতা ছিল এবং সে ক্যামেরার সাথে ভারী বোমা বহন করার জন্য বড় ব্যাটারিযুক্ত শক্তিশালী ড্রোন তৈরির চেষ্টা করেছিল।
এই পরিকল্পনা কি ভারতের জন্য নতুন বিপদের ঘণ্টা?
তদন্তে জানা গেছে যে দানিশ বিদেশি নম্বরের মাধ্যমে তার সহ-ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। এনআইএ তাকে ১৭ নভেম্বর শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করে। এখন প্রশ্ন হল, দেশে আরও কতজন এমন বিশেষজ্ঞ রয়েছে, যারা ড্রোন এবং রকেট মডিফাই করে সন্ত্রাস ছড়ানোর কথা ভাবছে। দিল্লি বিস্ফোরণ মামলার এখন পর্যন্ত তদন্তে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে প্রযুক্তিগতভাবে সক্ষম জঙ্গিরা ছোট এবং কম খরচের অস্ত্র দিয়েও বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করতে পারে। এই কারণেই এনআইএ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ক্রমাগত এই ধরনের মডিউলগুলির উপর নজর রাখছে।


