Delhi Blast News: মুজ়াম্মিল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সেই ঘরেই আড্ডা দিতেন এবং আসর বসাতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেখানেই হত গোপন সব আলোচনা। ভাবা যায়? এত বছর ধরে চলছে এই দেশদ্রোহিতার কাজ।

Delhi Blast News: দিল্লী বিস্ফোরণকাণ্ডে সামনে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য (delhi blast red fort)। হরিয়ানার আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নং হোস্টেলের রুম নম্বর ১৩। সেখানকার একটি একচিলতে ঘরে থাকতেন চিকিৎসক মুজ়াম্মিল আহমেদ। যার নাম দিল্লী বিস্ফোরণকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে (delhi blast news live)। আর তারপর ল্যাবেরটরি থেকে কিছু রাসায়নিক সরিয়ে নিয়ে, সেগুলি তারা পাঠিয়ে দেন ফরিদাবাদের ধৌজ এবং তাগা গ্রামের আলাদা আলাদা দুটি গোপন আস্তানায়।

আতশকাচের নিচে ১৭ নং হোস্টেলের রুম নম্বর ১৩

Scroll to load tweet…

মুজ়াম্মিল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠরা সেই ঘরেই আড্ডা দিতেন এবং আসর বসাতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সেখানেই হত গোপন সব আলোচনা। ভাবা যায়? এত বছর ধরে চলছে এই দেশদ্রোহিতার কাজ। সেই ঘরে বসেই নাকি বিস্ফোরণের ছক কষেন তাঁরা। সেই ১৭ নং হোস্টেলের রুম নম্বর ১৩-কে ঘিরেই এবার শুরু হয়েছে তদন্ত। গোয়েন্দাদের আতশকাচের নিচে হরিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ নং হোস্টেলের রুম নম্বর ১৩।

প্রসঙ্গত, হরিয়ানার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল চিকিৎসক পড়ুয়ার যোগসূত্র মিলেছে এই দিল্লী বিস্ফোরণকাণ্ডে। ফরিদাবাদের ধৌজ গ্রামে অবস্থিত ঐ মেডিক্যাল কলেজেই কর্মরত ছিলেন ধৃত দুই চিকিৎসক মুজ়াম্মিল এবং শাহীন সিদ্দীকী। পরে তদন্তে উঠে আসে, শ্রীনগরে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগানোর অভিযোগে ধৃত আদিল মাজ়িদ রাথরের সঙ্গেও সরাসরি যোগ ছিল আল-ফালাহ্‌ মেডিক্যাল কলেজের। 

Scroll to load tweet…

সেইসঙ্গে, এও জানা যাচ্ছে যে, ঘাতক আই১০ গাড়ির চালক উমর উন নবিও সম্ভবত ঐ হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তার হিসাবে কর্মরত মুজ়াম্মিল থাকতেন ১৭ নম্বর হোস্টেলের ১৩ নম্বর ঘরে। তদন্তকারীরা অনুমান করছেন, বিস্ফোরণের যাবতীয় পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঐ একটি ঘরই। 

বোমা তৈরির রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা?

সেই ঘরেই উমর এবং তাঁর সহযোগীরা গোপনে দেখা করতেন বলে জানা যাচ্ছে। সবথেকে বড় বিষয়, মুজ়াম্মিলের ঘর থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরেই অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবেরটরি। তদন্তকারীদের ধারণা, প্রথমে সেখান থেকেই বোমা তৈরির রাসায়নিক পাচারের পরিকল্পনা করেন এই অভিযুক্তরা। 

ল্যাবেরটরি থেকে কিছু রাসায়নিক সরিয়ে ফেলার পর, সেগুলি তারা পাঠিয়ে দেন ফরিদাবাদের ধৌজ এবং তাগা গ্রামের আলাদা আলাদা দুটি গোপন আস্তানায়। আপাতত তদন্তের স্বার্থে হোস্টেলের সেই ১৩ নম্বর রুমটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।