সংক্ষিপ্ত

কেজরিওয়াল বলেন, তাঁর দলের নেতাদের পাঠিয়েও দলকে ভেঙে ফেলা যাবে না। দলের সদস্যদের ভয় দেখান যাবে না।

 

রবিবার বেলা ১২টায় বিদেপির সদর দফতরে যাবেন। শনিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ১৯ মে বেলা ১২টার সময় তিনি ও আম আদমি পার্টির অন্যান্য নেতারা বিজেপির সদর দফতরে যাবেন, যাবে প্রধানমন্ত্রী যাকে চান তাকেই জেলে পাঠাতে পারেন।

বিজেপি সম্প্রতি বলেছে, তারা আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা ও দিল্লির মন্ত্রী অতীশি, সৌরভ ভরদ্বাজকেও জেলে পাঠাবে। স্বাতি মালিওয়ালের ওপর যৌন হেনস্থাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিভাব কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে আরও আপ নেতাদের গ্রেফতার করবে। আর জেলে পাঠাবে।

তারপরই পাল্টা সরব হন কেজরিওয়াল। তিনি আপ-এর জাতীয় আহ্বায়ক। তিনি এদিন জোর দিয়ে বলেন, তাঁর দলের নেতাদের পাঠিয়েও দলকে ভেঙে ফেলা যাবে না। দলের সদস্যদের ভয় দেখান যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণীশ সিসৌদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনি, সঞ্জয় সিংএর মত আপ নেতাদের জেলে পাঠানোর খেলায় মেতেছেন বলেও অভিযোগ করেন। তারপরই তিনি বলেন, 'আমি আমার বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে আগামিকাল দুপুরে বিজেপি অফিসে যাব। প্রধানমন্ত্রী যাকে ইচ্ছে তাকেই জেলে পাঠাতে পারেন। ' তিনি আরও বলেন, আপ একটি ধারনা। মোদী যতজন আপ নেতাকে জেলে রাখবেন দেশে তার থেকে একশো গুণ বেশি নেতা তৈরি হবে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, আপএর দোষ তারা দিল্লিতে স্কুল তৈরি করেছে। মহল্লা ক্লিনিক তৈরি করে বিনামূল্যে চিকিৎসা করছে। শহরের ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। যা বিজেপি পারেনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে মুক্ত অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির বাতিল আবগারি নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় সরকার গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। ছিলেন তিহার জেলে।