সংক্ষিপ্ত
শ্রদ্ধা ওয়াকারের মাথার হাড় গুঁড়ো করা হয়েছিল। নতুন চার্জশিটে আফতাব পুনেওয়ালার বিরুদ্ধে তেমনই অভিযোগ পুলিশের।
হত্যার পর শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেই খান্ত হননি তাঁর সহবাসসঙ্গী আফতাব আমিনম পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধা ওয়াকারের মাথা আর মুখের হাড় গুড়ো করার জন্য মিক্সারের ব্যবহার করেছিল। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় তিন মাস। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিহত তরুণীর মাথার কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। হন্যে হয়ে খুঁজছিল শ্রদ্ধার মুণ্ড। এই অবস্থায় সেই দিন এতদিন পরে আসল ঘটনা জানিয়েছে আফতাব। দিল্লি পুলিশের দায়ের করা চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে আফতার শ্রদ্ধার ফোনটি নষ্ট করেছিল মুম্বইতে।
শ্রদ্ধা ওয়াকার ও আফতাব ছিল লিভইন সঙ্গী। তাঁরা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কিন্তু পরিবারের অমতে সম্পর্ক রাখার জন্য তারা দিল্লি চলে গিয়েছিল। সেখানেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকতে শুরু করেছিল। এই অবস্থায় শ্রদ্ধার তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এই অনুমান করে শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তার দেহ টুকরো টুকরো করে করাত দিয়ে কেটে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিয়েছিল। শ্রদ্ধার দেহ রাখার জন্য আলাদা একটি ৩০০ মিলিলিটারের ফ্রিজও কিনেছিল আফতাব। সেখানে রাখার দেহের অংশ মাঝেমধ্যেই নিয়ে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসত। আফতাব নিজে জানিয়েছে ফ্ল্যাটের পাশেই একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে গিয়ে করাত , ব্লেড, হাতুড়ি আর প্ল্যাস্টিকের ক্লিপ কিনেছিল। যা প্রেমিকার দেহ নষ্ট করতে কাজে লেগেছিল।
শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডে আগেই দিল্লি পুলিশ তিন হাজার পাতার চার্জশিট দাখিল করেছিল। সূত্রের খবর চার্জশিটে ১০০ জন সাক্ষী ছাড়াও ফরেনসিক ও ইলেকট্রনিক্স রিপোর্টকেও আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সেই চার্জশিটে। দিল্লির মেহেরুউলির বাসিন্দা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যার অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি আফতাব আমিন পুনাওয়ারা। অভিযোগ শ্রদ্ধাকে হত্যা করে সে প্রমান লোপাটের কারেই মহিলার দেহ ৩৫টি টুকরো করে দেহ জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। শ্রদ্ধা ছিল আফতাবের সহবাসসঙ্গী।
গত বছর ১৮ মে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে ছাতারপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। তারপর করাত জাতীয় জিনিস দিয়ে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে মৃতার সহবাসসঙ্গী আফতাব। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে গত নভেম্বর মাসে। তারপরই শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়। আফতাবকে গ্রেফতার করে। আফতাব শ্রদ্ধাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করলেও তদন্তকারীদের একাধিক বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। আফতাবের নার্কো অ্যানালিসিস হয়। সেই রিপোর্টও চার্জশিটে থাকছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
আরও পড়ুনঃ
বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার উৎখাত করবে তৃণমূল, ত্রিপুরার জনসভায় দাবি মমতার
ত্রিপুরায় তৃণমূলের কোনও গুরুত্ব নেই, বিমানবন্দরে দলত্যাগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী