সংক্ষিপ্ত
তবে তাজমহল গ্রাস করবে যমুনার জল, তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। সমীক্ষা বলছে গত ৪৫ বছরে এই প্রথম তাজমহলের পাঁচিল ছুঁল যমুনার জল।
নাগারে বৃষ্টিতে ক্রমশ বাড়ছে যমুনার জল। একাধিক এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। লালকেল্লার পর এবার তাজমহলে ধাক্কা দিচ্ছে যমুনার জল। তবে তাজমহল গ্রাস করবে যমুনার জল, তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। সমীক্ষা বলছে গত ৪৫ বছরে এই প্রথম তাজমহলের পাঁচিল ছুঁল যমুনার জল। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই আগ্রায় ৪৯৫ ফুট উচু দিয়ে বইছে যমুনার জল। আগ্রা পুরসভার কমিশনার অঙ্কিত খান্ডেলওয়ালের কথায়, 'গত ৩ দিন ধরে জলস্তর বাড়ছেই। যেখানেই জলস্তর বিপদসীমা পার করছে, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।' আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া-এর বক্তব্য অনুযায়ী হেরিটেজ সাইটের কোনও ক্ষতির আশঙ্কা আপাতত নেই।
প্রসঙ্গত, রবিবারই যমুনায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছিল হরিয়ানা সরকার। আরও জল ছাড়লে সেক্ষেত্রে বিপদে পড়তে হতে পারে রাজধানীর বাসিন্দাদের। দিল্লি প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যমুনায় আরও জল ছাড়া হলে দিল্লির উপর বয়ে যাওয়া নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যেতে পারে। ফলে প্লাবিত হতে পারে দিল্লির একাধিক এলাকা। দিল্লির সেচ এবং বন্যা নিয়ন্ত্রণ দফতরের জানানো হয়েছে রবিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হরিয়ানার হাতনিকুন্ড জলাধার থেকে ১,০৫,৪৫৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সাধারণত এই পরিমানটা থাকে ৩৫২ কিউসেকের মধ্যে। এই জল দিল্লি পর্যন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় দু'তিন দিন।
গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির জেরে জলাধারগুলিতেও জলের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পুরনো রেল সেতুর কাছে যমুনার জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা প্যানেল। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানা নতুন জল ছাড়লে বিপদ বাড়তে পারে। ইতিমধ্যেই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৬টি কন্ট্রোল রুম খুলেছে দিল্লির আপ সরকার। যমুনা তীরবর্তী নিচু জায়গার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে সরকারি কর্মীদের ছুটিও।
নাগারে বৃষ্টির জেরে জল জমেছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে ইতিমধ্যেই নগরের ৫০টি স্থানে ৩,৪০০-এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আধিকারিকদের মতে, সকাল থেকে জলাবদ্ধতা ছিল, যার ফলে শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম যানজট, গাছ উপড়ে ফেলা, গর্ত এবং সিগন্যাল কাজ না করার অভিযোগ পেয়েছিল। ট্রাফিক পুলিশের সংগৃহীত তথ্যে দেখা গেছে যে চারটি প্রধান স্থানে গর্ত রয়েছে - বগ্গা গোলচত্বর, আম্বেদকর রোডে, রেল ভবন থেকে রাইসিনা রোডের উইন্ডসর প্লেস এবং অরবিন্দ মার্গের অধচিনি।