সংক্ষিপ্ত
- প্রাণভিক্ষার আবেদন করার জন্য নথি চাই!
- জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় নির্ভয়ার ধর্ষকরা
- তাদের আবেদন খারিজ দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের
- মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে আর কোনও বাধা নেই
আর কোনও নথির প্রয়োজন নেই। নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামীর আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। ফলে নির্ধারিত দিনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে আর কোনও বাধা রইল না। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
ফাঁসির সাজা রদ করার জন্য অনন্তকাল ধরে আইনি লড়াই চলতে পারে না। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে। কিন্ত হাল ছাড়তে রাজি নয় নির্ভয়ার ধর্ষকরা। তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কেস ডায়েরি, ক্ষমা প্রার্থনার ফাইল-সহ অন্যন্য নথি চেয়ে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও অক্ষয় কুমার। তাদের আইনজীবীর বক্তব্য, জেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নথি দিচ্ছে না, তাই তার মক্কেলরা কিউরেটিভ পিটিশন বা প্রাণভিক্ষার আবেদন জানাতে পারছে না! শনিবার সেই আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। সাফ জানিয়ে দেওয়া হল, আর কোনও নথির প্রয়োজন নেই।
আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ল ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরের একাংশ, ছাদের নীচে চাপা পড়ল প্রাণ
এর আগে নির্ভয়া কাণ্ডে স্পেশাল লিভ পিটিশন বা এসএলপি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বস্তত, অন্যতম সাজাপ্রাপ্ত আসামী পবন গুপ্তার আইনজীবীকে রীতিমতো তিরস্কার করেন বিচারক। দোষীর আর্জি ছিল, অপরাধের সময়ে সে নাবালক ছিল। বয়স বিচারের জন্য তদন্তকারী অফিসাররা ঠিকভাবে তার হাড়ের পরীক্ষা করেননি। বিচারক পবনের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ২০১৮ সালে জুলাই মাসে একই আর্জি করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাঁসির পরোয়ানা জারি হওয়ার পর নতুন আর কী তথ্য আসতে পারে? কেনই বা তা গ্রাহ্য করা হবে? এদিকে নির্ভয়া আরেক ধর্ষক মুকেশ সিং-এর প্রাণভিক্ষার আবেদনও খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে নির্ভয়াকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া এখন শুধু সময়ে অপেক্ষা বলেই মনে করা হচ্ছে।