সংক্ষিপ্ত

আরও দুই দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ মণীশ সিসোদিয়াকে। জামিনের আবেদনের শুনানি আগামী ১০ মার্চ । জানিয়েছে দিল্লির একটি আদালত।

 

জামিন পেলেন না দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া। আপাতত দুই দিন তাঁকে সিবিআই হেফাজতে থাকাতে হবে। দিল্লির সিটি আদালতে আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তাঁদে দুই দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। জামিনের আবদেনরর পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ মার্চ।

গত রবিবার সিবিআই গ্রেফতার করে দিল্লির আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়াকে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এদিনই তাঁকে সিবিআই অফিসে ডাকা হয়েছিল। তিনিও দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেই সিবিআই অফিসে যান। সেখানেই দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করা হয়। তারপর রবিবার ছুটির দিন সন্ধ্যাবেলায় গ্রেফতার করা হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে। সিবিআই সূত্রের খবর ডেপুটি সিএমকে আপাতত সিবিআই সদর দফতরে রাখা হবে। যদিও সিসোদিয়া সিবিআই দফতরে যাওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন তিনি সাত আট মাস জেলা থাকার জন্য প্রস্তুত। পাল্টা তাঁর দলের প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁকে আশ্বাস দিয়েছিলেন সিসোদিয়ার অসুস্থ স্ত্রীর দেখাশুনা করবেন দলেরও নেতা কর্মীরা।

যদিও এদিনও গ্রেফতার হতে পারেন, এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন দিল্লি উপমুখ্যমন্ত্রী। কারণ তিনি সিবিআই অফিসে ঢোকার আগেই জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে দেশের লক্ষ লক্ষ শিশু ও কোটি কোটি দেশবাসীর ভালবাসা রয়েছে। কয়েক মাস যদি জেলেও কাটাতে হয় তাহলে তার কোনও সমস্যা হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর আদর্শ ভগৎ সিং। তিনি বলেন ভগৎ সিং দেশের জন্য সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন। আর মোদী সরকারের মিথ্যা অভিযোগে যদি তাঁকে জেলে যেতে হয় সেটা খুবই সামান্য ব্যাপার।

দিল্লির রাউস কোর্ট জানিয়েছে, ১০ মার্চ দুপুর ২টোয় মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। সেই সময় সিবিআই জামিনের আবেদনের জবাব গিতে প্রস্তুত। তবে এদিনও সিবিআই-এর আইনজীবীর অভিযোগ ছিল সিসোদিয়া এখনও তদন্ত সর্বতভাবে সাহায্য করছেন না। যদিও এদিন জামিনের আবেদনে সিসোদিয়া জানিয়েছেন, তাঁকে যখনই ডাকা হবে তখনই সে তদন্তের জন্য হাজিরা দেবে। সিসোদিয়ার আইনজীবী বলেন, তদন্তে অসহযোগিতা জামিন নাকচের কারণ হতে পারে না। কিন্তু তারপরেও সিবিআই আইনজীবী সিসোদিয়ার জামিনে রাজি হননি, তিনি আপত্তি জানিয়ে গিয়েছেন। এই মামলায় বাকিদের জামিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সিসোদিয়ার আইনজীবী। তদন্ত যাতে প্রভাবিত করতে না পারেন, সেই জন্য প্রভাবশালী তকমা এড়াতে সিসোদিয়া মন্ত্রিসভা থেকেও পদত্যাগ করেছেন।