সংক্ষিপ্ত

মহামারি বা কোনও বিপর্যয়ে বিশ্বের সর্বত্রই সরকারি তথ্যে জল মেশানো হয়

হতাহতের সংখ্যা কম বলা হয়

কিন্তু তাই বলে একেবারে অর্ধেক

দিল্লি পুরসভার তথ্য প্রকাশের পর চরম বিতর্কে আপ সরকার

 

একটু আধটু নয়, একেবারে আকাশপাতাল ফারাক হিসাবে। দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর নেতৃত্বাধীন আপ সরকার ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে করোনাভাইরাসের কারণেমৃতের সংখ্যা বলেছিল ৯৮৪ জন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার বিজেপি পরিচালিত দিল্লি পুরসভা করোনা রোগীর মৃতদেহের সৎকারের যে হিসাব দিল, তা ২,০৯৮, অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। স্বাভাবিকভাবেই এই হিসাবের ব্যাপক গড়মিল নিয়ে রাজধানীতে আপ-বিজেপি রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান দয় প্রকাশ জানান, দক্ষিণ দিল্লি মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে সৎকার করা হয়েছে ১০৮০ জন করোনা মৃতের। আর উত্তর দিল্লি এবং পূর্ব দিল্লিতে সংখ্যাটা যথাক্রমে ৯৭৬ ও ৪২। সবমিলিয়ে ১০ জুন পর্যন্ত দিল্লিতে সৎকার করা হয়েছে  ২০৯৮ জনের। এর ধারেকাছে আপ সরকারে দেওয়া হিসাব নেই বলে এই নিয়ে বেধেছে তুমুল বিতর্ক। আপ সরকার তথ্য গোপন করছে বলে অভিযোগ করেছে দিল্লি বিজেপি।

একদিন আগেই কমিউনিটি স্প্রেড বা গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারে দিকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন কমিউনিটি স্প্রেড বা গোষ্ঠী সংক্রমণ তখনই বলা হয়, যখন আক্রান্তের থেকে কার থেকে ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে, তার সন্ধান করা যায় না। দিল্লির অন্তত অর্ধেক করোনা মামলার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, কেন্দ্র গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার না করলে তারা তা বলতে পারবেন না বলে দাবি করেছিলেন জৈন। এবার তথ্য গোপনের তীর ঘুরে এল আপ সরকারের দিকেই।