দিল্লির মারাত্মক বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার কৃত্রিম বৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। আইআইটি কানপুরের সহায়তায়, ক্লাউড সিডিং পদ্ধতির মাধ্যমে আকাশে রাসায়নিক ছড়িয়ে এই বৃষ্টিপাত ঘটানো হবে।
রাস্তায় বের হলেই নাক -চোখ জ্বালা করছে। দিল্লিতে দীপাবলি মানেই আতঙ্ক। প্রতিবারের মতো এবার ও দিল্লি দূষণের কারণে খবরে এসেছিল। বাকি দেশে যখন আলোর উৎসব উপভোগ করছিলেন সকলে, সেই সময় দিল্লি শহর ঢেকে গিয়েছিল দূষণে। আতশবাজিতে নিষেধাজ্ঞা, বড় ট্রাক চলাচল বন্ধ করা, ছোট গাড়িতে জোড়-বিজোড় নিয়ম, রাস্তায় নিয়মিত জল দেওয়া এই ধরনের হাজারও পন্থা মেনেও লাভ হয়নি। এবার এই দূষণ কমাতে কৃত্রিম বৃষ্টির ওপর ভরসা করছে দিল্লি।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ২৯ অক্টোবর কৃত্রিম বৃষ্টি হবে দিল্লিতে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ২৮, ২৯, ৩০ অক্টোবর দিল্লির আকাশে থাকবে মেঘ। সেই তথ্যের ওপর নির্ভর করে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল কৃত্রিম বৃষ্টি কী? দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দর সিং সিরসা বলেছেন, ৩.২১ কোটি টাকার এই উদ্যোগে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃত্রিম বৃষ্টি করানো হবে। কানপুর আইআইটি থেকে পাঠানো একটি বিশেষ বিমান উড়বে উত্তর-পশ্চিম দিল্লি ও দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকার ওপর দিয়ে। এর জেরে মেঘে জলীয় বাষ্প সম্পৃক্ত হবে এবং বৃষ্টির সৃষ্টি করবে। প্রসঙ্গত গত মাসে দিল্লি সরকার আইআইি কানপুরের সঙ্গে একটি চুক্তি সাক্ষর করে ক্লাউড সিডিং নিয়ে। ৫টি ক্লাউড সিডিং ট্রায়াল করা হবে। শোনা যাচ্ছে, ২৯ অক্টোবর উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ক্লাউড সিডিং-র মাধ্যমে বৃষ্টি করা হবে। এর পর কৃত্রিম বৃষ্টি হয় কীভাব সেটাই দেখার।
কীভাবে নামে বৃষ্টি?
প্রথমে আবহাওয়াবিদরা এমন মেঘ শনাক্ত করে যেখানে পর্যাপ্ত জলীয় বাষ্প আছে। তারপর বিমানের সাহায্যে বা রকেটের মাধ্যমে ওই মেঘে সিলভার আয়োডাইড ঢালা হয়। এই রাসায়নিক পদার্থ মেঘের ভেতরে ক্ষুদ্র জলকণাগুলোকে একত্রিত করে। কণাগুলো বড় হয়ে যায় ও শেষমেষ বৃষ্টির ফোঁটায় পরিণত হয়।


