সংক্ষিপ্ত

  • নতুন করে হিংসার গুজব দিল্লিতে 
  • রবিবার তিন হাজার আতঙ্কের ফোন পেল দিল্লি পুলিশ 
  • দিল্লির হিংসায় মৃত ৪৬
  • বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে দিল্লির পরিস্থিতি

আতঙ্কের তিন হাজার ফোন। রবিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এতগুলি ফোন পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। যাঁরা ফোন করেছিলেন তাঁদের সকলেরই বক্তব্য ছিল প্রায় একই রকম। সকলেই জানিয়েছিলেন নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে দিল্লির বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশকে ডাকতেই ফোন করেছিল দিল্লির আতঙ্কিত বাসিন্দারা। গত সোমবার থেকে টানা তিন দিন ভয়ঙ্কর হিংসার সাক্ষী থেকেছেন উত্তর পূর্ব দিল্লির কয়েক হাজার মানুষ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আতঙ্কের আবহ কাটিয়ে উঠতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই সামান্য গুজবেই আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা পুলিশকে ফোন করেছিলেন বলেই সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুনঃ ইরানে করোনার বলি ৬৬, লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন
পশ্চিম ও দক্ষিণ পূর্ব দিল্লি থেকেই গিয়েছিল বেশির ভাগ ফোন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রীতিমত তৎপর পুলিশ। প্রশাসনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে কড়া নজরদারী চালান হচ্ছে। নজর রাখা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। গত মঙ্গলবারই গুজব ছড়ানোর অভিযোগে কুড়ি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে রাজধানীর পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীরাই গুজব ছড়াতে বারবার ফোন করেছিল। কারণ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার পরেও কোনও সমস্যা দেখতে পায়নি। 

আরও পড়ুনঃ অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্রদের ঘৃণ্য মন্তব্যের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট, বুধবার হব
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সবথেকে আতঙ্কের ফোন গিয়েছিল পশ্চিম দিল্লি থেকে। সেই সংখ্যাটা হল ৪৮১। সেখানে উত্তর পশ্চিম দিল্লি থেকে পাওয়া ফোনের সংখ্যা ৪১৩। বেশিরভাগ মানুষই ১০০ নম্বরে ফোন করে তাঁদের অভিযোগ জানিয়েছেন। দক্ষিণ পূর্ব দিল্লিতেই রয়েছে শাহিনবাগ। গত সপ্তাহে যেখানে হিংসা চরম আকার নিয়েছিল। সেই শাহিনবাগের পাশাপাশি এলাকা থেকেই বেশই ফোন গিয়েছিল। 

আরও পড়ুনঃ দিল্লির হিংসায় পুড়ে যাওয়া বাড়ি মেরামতির জন্য জওয়ানকে দশ লক্ষ টাকার চেক বিএসএফ-এর
দিল্লির পুলিশ জানিয়েছে গত তিন দিন রাজধানীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নতুন করে কোনও সংঘর্ষ হয়নি। বড় রাস্তায় রয়েছে পুলিশ পাহারা। তবে তারমধ্যেই যান চলাচল অব্যাহত। স্থানীয়রাও নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়েছেন। কিন্তু স্থানীয়দের কথায় হিংসার ভয়াবহ আতঙ্ক থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ মোতায়েন থাকলেও অস্বস্ততি রয়েই গেছে।   এখনও পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় প্রাণ গেছে ৪৬ জনের। রবিবারও গোকুলপুরী থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতদহ। তাই বাইরে থেকে সবকিছু স্বাভাবিক লাগলেও চাপা আতঙ্ক রয়ে গেছে রাজধানীর বুকে।