দিল্লির হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছেতারা সবাই স্থানীয় বলে জানালো দিল্লি পুলিশতবে সিসিটিভি ফুটেজে অনেক বহিরাগতদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছেএই ঘটনার পিছনে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বড় ভূমিকা আছে বলে দাবি পুলিশের 

গত তিনদিন ধরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ভয়াবহহ হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৮টি এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ, সেই সঙ্গে ১০৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানালো এরা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু, সিসিটিভি ফুটেজে তারা বহু বহিরাগতকে হিংসা ছড়াতে দেখেছে। ফুটেজ ধরে ধরে তাদের খোঁজ চলছে। এছাড়া নজর রাখা হচ্ছে বেশ কয়েকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের উপরও। কারণ তদন্তে জানা গিয়েছে, দিল্লির হিংসা কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। রীতিমতো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নির্দেশ দিয়ে ঘটানো হয়েছে।

আরও পড়ুন - মর্গে পড়ে আসফাক-রাহুল'দের দেহ, হাহাকারের দিল্লিতে মুসলিম বাবার পাশেই হিন্দু মা

দিল্লি পুলিশ এদিন জানিয়েছে, ধৃতদের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে সোমবার সকাল থেকেই এই ধরণের হিংসার নির্দেশ এসেছিল। মৌজপুর, বাবরপুর, চাঁদবাগ, কদমপুরির মতো এলাকায় পাথর মজুত করার নির্দেশ এসেছিল। সেই সঙ্গে হোয়াটসঅ্য়াপ গ্রুপ ব্যবহার করে বিদ্বেষমূলক ভিডিও, গুজব, ভূয়ো কবর ছড়ানো হয়েছে, এমনকী, কীভাবে হামলা করা হবে তার পরিকল্পনাও আলোচনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন - আগুন থেকে উদ্ধার করলেন মুসলমান প্রতিবেশীদের, নিজে পুড়ে গেলেন প্রেমকান্ত

পুলিশ জানিয়েছে তারা যাদেরকে ধরেছে, তারা সবাই স্থানীয় হলেও প্রতিবেশী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকেও বহু সংখ্যক লোক এসে হিংসায় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির সীমান্ত সিল করে দেওয়া হয়। কিন্তু, তার আগেই বহিরাগতরা উত্তর পূর্ব দিল্লির রাস্তায় নেমে পড়েছে। এখন, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ধরে ধরে তাদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন - দিল্লি হিংসা-র বলি, একনজরে দেখে নিন মৃত ৩৪ জনের নাম-পরিচয়

Scroll to load tweet…

এছাড়া পুলিশ আরও জানিয়েছে, হিংসায় পুলিশ কর্মীরা বেশিরভাগই পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। কিন্তু, শুধু পাথর ছোড়ার মধ্যে হিংসা সীমাবদ্ধ ছিল না। দুষ্কৃতীরা অনেক জায়গাতেই দেশি বন্দুকও ব্যবহার করেছেন। পুলিশ-ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর পাশাপাশি বহু জায়গায় লুটপাট, ডাকাতিও করা হয়েছে। স্থানীয় গুন্ডাদলগুলির এই হিংসায় কী ভূমিকা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।