সংক্ষিপ্ত
এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এনডিএ-র শরিক দলগুলির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলেও, পদে পদে সমস্যায় পড়তে পারেন নরেন্দ্র মোদী।
অনেকে আশঙ্কা করেছিলেন, অন্যদিকে, অনেকে আবার আশায় ছিলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে দেবে। এছাড়া অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা, ওয়াকফ বোর্ড বাতিল করা, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ বাতিল করা, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে ফিরিয়ে আনা, বারাণসীতে জ্ঞানবাপী মসজিদের জায়গায় মন্দির প্রতিষ্ঠা, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণর জন্মভূমিতে নতুন করে মন্দির তৈরির আশাও ছিল অনেকের। এছাড়া এনআরসি-র মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার দাবিও ছিল। কিন্তু বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সব পরিকল্পনাই ভেস্তে যেতে পারে। এমনকী, ইতিমধ্যেই যে সব প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তার মধ্যে কয়েকটি প্রকল্প বাতিল বা সংশোধনও করতে হতে পারে।
নতুন সরকারের উপর শরিক দলগুলির চাপ
নতুন সরকার গঠনের আগেই সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে নতুন করে আলোচনার দাবি জানাচ্ছে জনতা দল ইউনাইটেড। এই প্রকল্পে আপত্তির কথা জানিয়েছে নীতীশ কুমারের দল। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নানা বিষয়ে দর কষাকষি চলবে। তেলুগু দেশম পার্টিও দর কষাকষির পথে হাঁটছে। জেডিইউ ও টিডিপি যে কোনও সময় কেন্দ্রীয় সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুঁশিয়ারিও দিতে পারে। ফলে গত ১০ বছরের মতো মসৃণভাবে সরকার চালাতে পারবেন না নরেন্দ্র মোদী। অটলবিহারী বাজপেয়ী বা মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় যেভাবে শরিকদের তুষ্ট রাখতে হত, এবার মোদীকেও সেই পথেই হাঁটতে হবে।
নতুন বিল পাশে সমস্যা হতে পারে
দ্বিতীয় মোদী সরকারের আমলে সহজেই সিএএ চালু করা সম্ভব হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদও করা গিয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় মোদী সরকারের আমলে লোকসভা ও রাজ্যসভায় গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। শরিক দলগুলিই অনেক বিলে আপত্তি জানাতে পারে। ফলে অনেক হিসেব করে চলতে হবে মোদীকে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
Modi Govt 3.0: সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই দর কষাকষি এনডিএ-র শরিক দলগুলির
Modi Govt 3.0: সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ-র নেতা নির্বাচিত নরেন্দ্র মোদী, সরকার গঠনে তৎপরতা