ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষ-সহ ১০ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেছে।

কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে দিল্লিতে প্রতিবাদ। গ্রেফতার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদরা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিবিআই, ইনকাম ট্যাক্স দফতরের প্রধানদের বদলির দাবি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছিল তৃণমূলের নেতারা। কিব্তু সেখান থেকেই তাদের দিল্লি পুলিশ আটক করেছে।

ডেরেক ও'ব্রায়েন, দোলা সেন, সাকেত গোখলে এবং সাগরিকা ঘোষ-সহ ১০ জন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এদিন নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের সঙ্গে দেখা করেছে। দেখা করে বেরিয়ে এসে তারা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে। সেই সময়ই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, 'আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে এনআইএ, ইডি, আয়কর, প্রধানদের পরিবর্তন করার জন্য আবেদন জানিয়েছি। এই দাবি নিয়েই আমরা ২৪ ঘণ্টার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে বসে আছি।' পরে দোলা সেনই জানিয়েছেন, তৃণমূল নেতাদের দিল্লি পুলিশ জোর করে আটক করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেই সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

Scroll to load tweet…

আটক হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি তাদের জোর করে আটক করা হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণ ভাবেই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলে। সাগরিকা ঘোষ আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ জোর করে তাদের তুলে নিয়েছে। তাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের মন্দির মার্গ পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে দোলা সেন মাথায় চোট পেয়েছেন। একই কথা বলেন সতেক গোখেল। তিনি বলেন দিল্লি পুলিশ তাদের মিথ্যা কথা বলে অন্য জায়গা নিয়ে যায়। কিন্তু কার নির্দেশে দিল্লি পুলিশের এই পদক্ষেপ তারা জানেন না। তিনি আরও বলেন, দিল্লি পুলিশ শাসকদলের নির্দেশেই এজাতীয় কাজ করেছে । যা ভোটের সময় সম্পূর্ণ বেআইনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের সদস্যদের অভিযোগ দিল্লি পুলিশ তাদের বেআইনিভাবেই টার্গেট করেছে।

Scroll to load tweet…

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কেন্দ্র সরকার ইচ্ছেকৃতভবাবে বিরোধীদের হেনস্থা করার জন্য ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন। রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে এই রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে দুর্নীতিগ্রস্তদের উপযুক্ত সাজা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।