মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে হীরানাগাল্যান্ডের মোন জেলার ওয়ানচিং গ্রামেএমনই ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়ভূতাত্ত্বিকদের তদন্তে পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার 

নাগাল্যান্ডের মোন জেলার ওয়ানচিং গ্রাম। সেখানে নাকি পাহাড়ের ঢালে মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে হীরকখণ্ড। এমনই খবর এবং তার সঙ্গে ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তাতে রাজ্যজুড়ে এমন শোরগোল পড়ে গিয়েছে, যে রাজ্য সরকার এই দাবি সত্যি কিনা তা যাচাই করতে তদন্তের আদেশ দিয়েছে। তবে, স্থানীয় ভূতাত্ত্বিকরা মনে করছেন, চকচক করছে মানেই যে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা স্ফটিকগুলি হীরা, তা নয়। তবে তাঁদের সেই দাবি কে পাত্তা দিতে নারাজ নেটিজেনরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপ এবং ছবিগুলিতে গ্রামবাসীদের এক বিশাল পাহাড়ের একটি ঢালে খনন করতে দেখা যাচ্ছে। তারপরই মাটি থেকে হাতের তালুতে তুলে তাঁরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্ফটিক দেখাচ্ছেন। ওই স্ফটিকগুলিই হীরা বলে দাবি করছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, বনে কাজ করতে গিয়েই প্রথম কয়েকজন গ্রামবাসী এই 'হীরা'র সন্ধান পেয়েছিলেন। তাঁরা বাকিদের খবর দিতেই গোটা গ্রাম এক হীরা খুঁজছে। আর সেই খবর সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়তেই বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ ওই গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

Scroll to load tweet…

তবে তাদের সেই উৎসাহে জল ঢালছেন স্থানীয় ভূ-তাত্ত্বিকরা। নাগাল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক জিটি থং বলেছেন, ওই অঞ্চলে হীরা থাকার কোনও রেকর্ড নেই। তাঁর মতে হীরা বলে দাবি করা স্ফটিকগুলি সম্ভবত সাধারণ কোয়ার্টজ। নাগাল্যান্ডের বিভিন্ন অংশে এগুলি পাওয়া যায়। দরিদ্র গ্রামবাসীদের কেউ বিভ্রান্ত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে নাগাল্যান্ড সরকারের তদন্তকারী দলের চারজন ভূতাত্ত্বিক ৩০ নভেম্বর বা ১ ডিসেম্বরই ওই গ্রামে পৌঁছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাদের তদন্ত রিপোর্টের উপরই নির্ভর করছে স্ফটিকগুলি হীরা না কোয়ার্টজ।

আরও পড়ুন - ভ্যাকসিনের তদারকিতে তিন শহরের তিন গবেষণাগারে প্রধানমন্ত্রী, দেখুন ছবিতে ছবিতে

আরও পড়ুন - প্যাংগং হ্রদে মোতায়েন 'মার্কোস' বাহিনী, সেনা ও বায়ুসেনার পর কেন নৌসেনা এল লাদাখে

আরও পড়ুন - প্রস্তাবনা পাঠ করলেন সিএমডি, এনএসআইসি-তে পালিত হল সংবিধান দিবস

তবে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, যদি স্ফটিকগুলি কোয়ার্টজও হয়, তাহলেও গ্রামবাসীরা উপকৃত হবে। কারণ কোরার্টজ-এরও অনেক প্রয়োগ রয়েছে। তবে, কৌতূহলী জনতার আগমন নিয়ে চিন্তিত তারা। ওয়াংচিং গ্রাম পরিষদ এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আর কোনও পোস্ট করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অন্য গ্রাম বা শহর থেকে আসা কোনও ব্যক্তিকে গ্রামে প্রবেশ করতে গেলে কাউন্সিলের অনুমতি নিতে হবে।