৬ বছর হয়ে গেল ডিজিটাল ইন্ডিয়ার  বিধা বিপত্তি এগিয়ে চলে যাচ্ছে সমস্যা সমাধান করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত  সুবিধে পাচ্ছেন দেশের নাগরিকরা 

দেখতে দেখতে ৬ বছর পার করে দিল ডিজিটাল ইন্ডিয়া (Digital India)। সমাজ, বিজ্ঞান আর অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৫ সালের ১ জুলাই। ২০১৮ সালে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষ, বিশেষত গ্রামীণ ভারতকে ডিজিটাল সুযোগ সুবিধে দেওয়াই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে অনেকটাই সহজ করে দেয়- বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। 

Scroll to load tweet…

১ কোটি ১৩ লক্ষ মানুষের ডিজিটাল ইন্ডিয়ার সুবিধে ভোগ করে। ১৯৯০ সালে ভারতের ই-গভর্নেন্সের উদ্যোগে নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছিল। ই-গভর্নেন্সের প্রধান লক্ষ্যই ছিল রেল পরিষেবায় কম্পিউটারাইজেশন, জমি সংক্রান্ত রেকর্ড ইত্যাদি। পরবর্তীকালে রাজ্যগুলির কাজকর্মেও ডিজিটাল পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়। তবে তা ছিল খুবই সীমিত আকারে। কিন্তু বর্তমানে এর পরিধি অনেকটাই বেড়ে গেছে। বর্তমানে জোর দেওয়া হয়েছে, প্রত্যেক নাগরিককে চিহ্নিত করতে। ভারতের গ্রামগুলিতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করা। প্রতিটি নারগিরকেও বৈদ্যুতিন সরকারি পরিষেবা দেওয়াও এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য। 

ইউরোপের ৯ দেশের মান্যতা ভারতের করোনাটিকাকে, বিজ্ঞপ্তি জারি এস্তোনিয়ার

বর্তমানে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার পরিধি আরও বড় হয়েছে। মোবাইল ফোন আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিজিটাল হওয়ার আর্থিক লেনদেন আগের তুলনায় সহজ হয়েছে। সাইবার স্পেশে মানুষের ব্যক্তিগত সুরক্ষা অনেকটাই বড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুততার সঙ্গে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে পরিষেবাও আগের তুলনায় স্বচ্ছ হয়েছে বলেও দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যবসা আর বিনিয়োগ সহজ করতে ডিজিটাল পরিষেবার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বৈদ্যুতিন আর নগদহীন অর্থিক লেনদেনে রীতিমত এগিয়ে গেছে ভারত। 

প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধর্মঘট আর আন্দোলনে 'না' কেন্দ্রের, জারি কঠোর আধ্যাদেশ

দেশের একদম প্রত্যন্ত এলাকায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে যা অনেকটাই সফল। বর্তমানে ডিজিটার ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের কোনও সাংশাপত্র জমা দেওয়া বা সরকারি নথি সংগ্রহ করার জন্য আর অফিসে অফিসে ঘুরে বেড়াতে হয় না। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। কারণ সীমান্তবর্তী ও অচতি উচ্চ এলাকা জম্মু ও কাশ্মীর আর লাদাখে ইন্টারনেট পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে তা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রযুক্ত সম্পর্কে এখনও দেশের কিছু মানুষের অনীহা বা ভয়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- যা প্রকট হয়েছে কোভিড ১৯ এর টিকা প্রদানের সময়। সাইবার ক্রাইমও একটি বড় সমস্যা।