সংক্ষিপ্ত

  • হায়দরাবাদের ঘটনায় কঠোর শাস্তির সওয়াল সংসদে
  • উঠল ধর্ষকদের যৌনাঙ্গছেদের দাবি
  • দাবি তুললেন ডিএমকে সাংসদ পি উইলসন
  • গণপিটুনির পক্ষে সওয়াল করেন জয় বচ্চন


কী শাস্তি হওয়া উচিত হায়দরাবাদে গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের? এই নিয়েই এখন বিভিন্ন ধরনের মতামত উঠে আসছে সমাজের বিভিন্ন স্তর  থেকে। আর সেসবের মধ্যে দিয়েই ঠিকরে বেরোচ্ছে ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে আমজনতার ক্ষোভ। 

সাধারণ মানুষের মতোই হায়দরাবাদের ঘটনায় অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন দেশের সাংসদরা। রাজ্যসভা এবং লোকসভা, হায়দরাবাদের ঘটনা নিয়ে সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। কঠোর শাস্তি নিয়ে কোনও দ্বিমত না থাকলেও দোষীদের কী শাস্তি হওয়া উচিত তাই নিয়ে বিভিন্ন সাংসদ বিভিন্ন রকমের মতামত। তার মধ্যে ডিএমকে সাংসদ পি উইলসন অভিযুক্তদের যৌনাঙ্গছেদনের পক্ষে সওয়াল করেন। 

ক্ষোভ উগরে দিয়ে উইলসন দাবি করেন, ধর্ষণে অভিযুক্তদের জেল থেকে ছাড়ার আগে অস্ত্রোপচার বা রাসায়ণিক  ব্যবহার করে যাতে যৌনাঙ্গচ্ছেদনের নির্দেশ দেওয়া যায়, আদালতকে সেই ক্ষমতা দেওয়া হোক। ওই সাংসদের মতে, এর ফলে অভিযুক্তরা একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে না। 

একা ডিএমকে সাংসদ উইলসন নন, ধর্ষণে অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে আরও কঠোর আইন আনার পক্ষে সওয়াল করেছেন অনেক সাংসদ। কেউ কেউ আবার আইনের শাসনের বাইরে গিয়েও শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন। 

আরও পড়ুন- জেলে ঢুকেই মাংস-ভাত, রাত জাগল হায়দরাবাদ ধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তরা

আরও পড়ুন- হায়দরাবাদের নৃশংসতায় একজোট সব দল, আরও কঠোর আইন আনতে তৈরি সরকার

যেমন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু মনে করেন, এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসির সাজা হলে ক্ষমা প্রার্থনার কোনও সুযোগই দেওয়া উচিত নয়। এই প্রসঙ্গে ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অভিযুক্তদের কথা উদাহরণ হিসেবে সামনে আনেন তিনি। ওই অভিযুক্তরাও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করায় এখনও তাদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করা যায়নি। ক্ষুব্ধ নাইডু বলেন, 'এই ধরনের অপরাধীদের কেউ ক্ষমা করার কথা ভাবতে পারে?'

সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন যেমন হায়দরাবাদ কাণ্ডে অভিযুক্তদের আমজনতার হাতে তুলে দিয়ে গণপিটুনির নিদান দিয়েছেন। আবার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় এমন আইন চেয়েছেন, যাতে ধর্ষণের একমাত্র সাজা হয় মৃত্যুদণ্ড। 

আবার দিল্লির সাংসদ মীনাক্ষী লেখি অন্য একটি প্রসঙ্গে সরব হন। তিনি বলেন, হায়দরাবাদের মতো ঘটনার প্রতিবাদে যাঁরা মোমবাতি মিছিল করেন, তাঁদের অনেকেই আবার মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখান। কারা এমন দু'মুখো অবস্থান নিয়ে চলছেন, তাঁদেরকেও পরিচয়ও আমজনতার সামনে আনা উচিত বলে দাবি করেন ওই সাংসদ। পাশাপাশি সব স্কুলে মেয়েদের আত্মরক্ষার পাঠ বাধ্যতামূলক করা উচিত বলেও পরামর্শ দেন তিনি।