সংক্ষিপ্ত

তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ৫৫ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত শঙ্কর নাগাপ্পা হানগুদ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকত। সেখানেই এক সপ্তাহ ধরে সে চারটি খুন করেন।

কোনও রকম প্যারোল ছাড়াই এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদকে (Indian-origin techic) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের (sentences to life)নির্দেশ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত (US court)। ২০১৯ সালে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে  ভারতীয় বংশোদ্ভূত শঙ্কর নাগাপ্পা হানগুদ (Shankar Ngappa Hangud)। খুনের কথা নিজে মুখে স্বীকারও করে নিয়েছিলে সে। সেই কারণেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

তদন্তকারীরা জানিয়েছে, ৫৫ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভূত শঙ্কর নাগাপ্পা হানগুদ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকত। সেখানেই এক সপ্তাহ ধরে সে চারটি খুন করেন। বিভিন্ন দিনে স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করেন। জেরায় শঙ্কর জানিয়েছিল আর্থিক অনটনে ভুগছিল সে। স্ত্রী ও সন্তানদের প্রতিপালন করার ক্ষমতা তার ছিল না। সেই কারণেই  তাদের একে একে হত্যা করেছিল। 

Xi Jinping: মাও সেতুং-এর সঙ্গে একই আসনে শি জিংপিং, আরও শক্তিশালী হচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট

সাজা ঘোষণার সময় শঙ্কর কোনও রকম মন্তব্য করেনি। কাঠগড়ায় রীতিমত বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় একটি সংবাদ মাধ্যম। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে বোঝা গেছে শঙ্কর এক সপ্তাহ ধরে হত্যালীলা চালিয়ে গেছে। তিন দিনের ব্যবধানে স্ত্রী ও কন্যা সন্তানদের হত্যা করেছে। জংশন বুলেভার্ডের উডক্রিক ওয়েস্ট কমপ্লেক্সে পরিবার নিয়ে থাকতেন শঙ্কর। তাদের অ্যাপার্টমেন্টের নাম রোজভিলা। এই সাজানো বাড়িতে বসেই ৭  অক্টোবর ২০১৯ সালে স্ত্রী এক মেয়ে এক ছেলেকে হত্যা করেছে সে।  সব শেষে সে তার প্রথম সন্তানকে হত্যা করে। সেটি ছিল পুত্র সন্তান। তারপর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সে। 

China: ভারতের ডাকা নিরাপত্তা বৈঠক এড়িয়ে পাকিস্তানের পাশে চিন, যোগ দেবে ট্রোইকা বৈঠকে

সেই সময়ই শঙ্ক সংবাদ শিরোনামে এসেছিল যখন সে প্রায় ৩২০ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পুলিশের কাছে স্ত্রী সন্তানদের খুনের কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করেছিল। যা পুলিশ কর্তাদেরও অবাক করেছিল। তার খুনের কথা স্বীকার করার পর পুলিশ তাজের রোজভিল অ্যাপাটমেন্টে আসে। সেথানে স্ত্রী ও এক সন্তানের দেহ উদ্ধার করে। অপর এক সন্তানের দেহ রাখা ছিল গাড়িতে। 

Pakistan Navy: পিএনএস তুঘ্রিল, চিনের থেকে পাওয়া পাকিস্তানের সবথেকে বড় ও আধুনিক যুদ্ধ জাহাজ

শঙ্করের আইনজীবী জানিয়েছেন, আইটি মোটা মাইনের কর্মী ছিল শঙ্কর। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়ার পরেই সে ভেঙে পড়ে। আর্থিক অনটন থেকেই দাম্পত্য কহল শুরু হয়েছিল। যা আরও মানসিক অবসাদের দিকে ঠেলে দিয়েছিল শঙ্করকে। চাকরি জোগাড় করার চেষ্টাও করেছিল শঙ্কর। তিনি তাতে কোনও লাভ হয়নি।  আইনজীবীর কথায় এটি পিতৃতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার ট্যাজেডি। শঙ্কর তার স্ত্রী সন্তানদের প্রতিপালনের দায়িত্ব নিতে পারবে না- এটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। সেই কারণেই এই হত্যা। 

YouTube video player