সংক্ষিপ্ত
কৃষি আইন বাতিল নিয়ে Asianet Bangla-র বিশেষ সাক্ষাৎকারে অল ইন্ডিয়া কিষান মজদুর সভার (All India Kisan Mazdoor Sabha, AIKMS) সাধারণ সম্পাদক ডঃ আশিষ মিত্তল
হাড় কাঁপোনা শীতের মাঝেই গত বছরের নভেম্বরে দিল্লি সীমান্তে জোট বেঁধেছিল হাজার হাজার প্রতিবাদী কৃষক। কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে শুরু হয়েছিল রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। তারপর গঙ্গা-যুমনা দিয়ে পেরিয়ে গিয়েছে বহু জল। কেন্দ্রের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিংয়ের পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। তবে এই নভেম্বরেই আচমকা এল সুখবর। কৃষক আন্দোলনের চাপে অবশেষে কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হল কেন্দ্র। ১৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালেই আচমকাই এই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশির হাওয়া আন্দোলনকারী কৃষক শিবিরে।
জয় প্রসঙ্গে Asianet Bangla-র বিশেষ সাক্ষাৎকারে কৃষকদের আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে বললেন অল ইন্ডিয়া কিষান মজদুর সভার (All India Kisan Mazdoor Sabha, AIKMS) সাধারণ সম্পাদক ডঃ আশিষ মিত্তল। তাদের দাবি সবেমাত্র মুখে কৃষি আইন বাতিলের পরিকল্পনা করেছে সরকার। অবশ্যই এটা বড় পদক্ষেপ। তবে যতক্ষণ না সংসদীয় মঞ্চে তিন কৃষি আইন পাকাপাকি ভাবে বাতিল না হচ্ছে ততক্ষণ আন্দোলন জারি থাকবে। খানিক ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতেই ইতিহাসের খতিয়ান টেনে মোদী শিবিরের উপর করা ‘ভরসা’ নিয়েও কটাক্ষবান শানিয়ে তিনি বলেন, “আভি ভি দেশ ম্যা মোদী হ্যা তো সাব মুমকিন হ্যা”।
আরও পড়ুন - অবৈধ অনুপ্রেবেশে উত্তেজনা, বারাসাতে পাকড়াও বাংলাদেশী যুবক
পাশাপাশি বিদ্যুত বিল, এমএসপি-র একাধিক ইস্যু নিয়েও জারি থাকবে আন্দোলন। এমনটাই মত ওই কৃষক নেতার। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে নিয়ে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু কথা বলতে শোনা যায় ওই কৃষক নেতাকে। উত্তরপ্রদেশের আসন্ন নির্বাচনের সমীকরণের কথা ভেবেই পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে বলেও তার মত।এই সিদ্ধান্ত না নিলে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনী ময়দানে যে বিজেপি সহজেই ভরাডুবি হতে পারত সেকথাও মানছেন কমবেশি সকলেই। ডঃ আশিষ মিত্তলের কথায়, এই জয় শুধু মাত্র নতুন এক যাত্রার সূচনা। এখনও অনেক লড়াই বাকি রয়েছে। তাই নতুন করে সংঘবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আন্দোলন মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
আরও পড়ুন- ডাইনি অপবাদ দিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানা, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে দুই আদিবাসী পরিবার
অন্যদিকে মোদী সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে সাবধানী প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গিয়েছে কৃষক সংগঠন বিকেইউ একতা উগ্রহনকেও(BKU Ekta Ugrahan)। তাদের দাবি মোদীর ঘোষণা অবশ্যই কৃষকদের জন্য বড় জয়, তবে এখনও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। কৃষি আইনের পাশাপাশি এমএসপি এবং পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অধিকারের বিষয়গুলি নিয়েও এখনও সরকারের তরফে কোনও ঠিকঠাক প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাই আন্দোলন জারি রাখার পক্ষেই মত বিকেইউ একতা উগ্রহনের নেতাদের।