সংক্ষিপ্ত

বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা মহিলা। দুপুরের খাবারের পর বিমানের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এসময় একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার আসনের কাছে এসে প্রস্রাব করে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিজনেস ক্লাসে এক মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিলেন এক মদ্যপ ব্যক্তি। লোকটির এই লজ্জাজনক কাজটি সবার চোখের সামনে ঘটলেও, কেউ তার কোনও প্রতিবাদ করেননি বলে অভিযোগ। এমনকী অভিযোগের পরও কেবিন ক্রু সদস্যরা ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি। মহিলা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে একটি চিঠি লেখেন, তারপরে শুরু হয় তদন্ত। এয়ার ইন্ডিয়া পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ওই যাত্রীকে 'নো ফ্লাই' তালিকায় রাখার আবেদন করেছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ নভেম্বর নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে দিল্লি যাওয়ার এয়ার ইন্ডিয়ার AI-102 ফ্লাইটে। এই প্লেনে বিজনেস ক্লাসে যাত্রা করছিলেন ৭০ বছরের বৃদ্ধা মহিলা। দুপুরের খাবারের পর বিমানের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এসময় একজন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তি তার আসনের কাছে এসে প্রস্রাব করে। ওই নারী তার অভিযোগে জানান, তার জামাকাপড়, ব্যাগ, জুতা প্রস্রাবে সম্পূর্ণ ভিজে গেছে। এ বিষয়ে তিনি ক্রু মেম্বারদের কাছে অভিযোগ করেন। এতে এয়ার হোস্টেস এসে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে চলে যান। ফ্লাইটে বসা অন্য যাত্রীরাও এই আচরণে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। কিছুক্ষণ পর ক্রু সদস্য তাকে একজোড়া পায়জামা ও ডিসপোজেবল চপ্পল দিলেও প্রস্রাব করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

চিঠি লেখার পর পদক্ষেপ নেয় এয়ার ইন্ডিয়া

এই ঘটনাটি ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মহিলাটি চিঠি লেখার পরে এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাকশন বা পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। একই সময়ে, এয়ার ইন্ডিয়ার এক আধিকারিক দাবি করেছেন যে তিনি এই বিষয়ে একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। এর সাথে, এয়ার ইন্ডিয়ার দ্বারা চেক করার পরে, এই কান্ড ঘটানো যাত্রীকে নো-ফ্লাই তালিকায় রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এদিকে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত চেক আপের কারণে জোর করে তরুণীকে পোশাক খোলালেন নিরাপত্তারক্ষীরা। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল বেঙ্গালুরুর কেম্পাগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন তরুণী। তাঁর টুইট দেখার পর তৎপর হয়ে উঠল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগকারী তরুণীর নাম কৃষাণী গাধবী। সম্প্রতি তিনি একটি টুইট করে লিখেছেন, বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নিরাপত্তারক্ষীদের তল্লাশির সময় তাঁকে শার্ট খুলতে বলা হয়। ফলে বেশ কিছু ক্ষণ তাঁকে শুধুমাত্র ক্যামিসোল (অন্তর্বাস) পরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই পরিস্থিতিতে তিনি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন। সেসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত অন্যান্য লোকজন তাঁর দিকে যে দৃষ্টিতে তাকাচ্ছিলেন, তা অত্যন্ত বিব্রতকর বলে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হেনস্থা হওয়া তরুণী।