সংক্ষিপ্ত
- আজ থেকে বন্ধ দেশের সব রেস্তোরাঁ
- করোনা প্রতিরোধে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
- ৩১ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা
- ব্যাপক পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা
এদেশে দিনে দিনে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আগামী কয়েক সপ্তাহে যাতে সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ না করে তার জন্য আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীর সমস্ত জিম, নাইটক্লাব এবং স্পা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি সরকার। এই অবস্থায় দিল্লির রিস্তোরাঁ মালিকরাও ৩১ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের সমস্ত আউটলেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ এবার ভারতীয় সেনার অন্দরে, লেহতে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন জওয়ান
করোনা যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে দেশ জুয়েই ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বের হতে নিষেধ করছে প্রশাসন। অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি দফতরই বন্ধ রেখে কর্মী ওয়ার্ক ফ্রম হোমে পাঠান হয়েছে। এই অবস্থায় করোনা প্রতিরোধে ময়দানে নেমেছে ন্যাশনাল রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনও। ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশের সমস্ত রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছে এনআরএআই।
দেশের ফুড সার্ভিস সেক্টরের সঙ্গে জড়িত কয়েক লক্ষ কর্মী ও খাদ্য রসিকদের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিজেদের প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ন্যাশনাল রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের বক্তব্য তাদের বহু কর্মী প্রতিদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। সেই কারণে তাঁদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। সেই কারণে অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে সংগঠনের সব সদস্যদের রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিচ্ছে এনআইএআই। কর্মীদের বাড়ির বাইরে না বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার ত্রুটির মাশুল গুনছে ইমরানের দেশ, একলাফে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৩৭
তবে রেস্তোরাঁ বন্ধ হলেও এখনও গ্রাহকদের জন্য হোম ডেলিভারি ব্যবস্থার সুযোগ থাকছে বলে জানিয়েছেন এক রোস্তারাঁ মালিক। এদিকে রিস্তোরাঁ বন্ধ রাখার ফলে তাদের যে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হবে তা রুখতে স্টেকহোল্ডারদের কাছে সাহায্য চেয়েছে এনআরএআই। ব্যাঙ্ক লোন মেটানো, সুদের হার কমানো, লাইসেন্স ফি, ট্যাক্স কমানোর আর্জি জানানো হয়েছে এই সংকটময় পরিস্থিতিতে।