সংক্ষিপ্ত

 

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশ। ভারতের ন্যাশানাল সিসমোলজি অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্প হয় অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং জেলায়। মাত্রা ছিল ৫.৭ ম্যাগনিচিউড।

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশ। ভারতের ন্যাশানাল সিসমোলজি অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্প হয় অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং জেলায়। মাত্রা ছিল ৫.৭ ম্যাগনিচিউড। ন্যাশানাল সিলমোলজির মতে কম্পনের গভীরতা ছিল মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার নিচে। ন্যাশানাল সিসমোলজি জানিয়েছে, 'আজ সকাল ১০.৩১ মিনিটে অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং-এ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে।'

 

 

দিন কয়েক আগেই বিজ্ঞানীরা ভারতের হিমালয় পার্বত্য এলাকায় পরপর ভূমিকম্প হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই অরুণাচলের কম্পন রীতিমত উদ্বেগ বাড়িছে। যদিও এদিনের ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।

বুধবার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এই পরিস্থিতি গত ২০০ বছরে তৈরি হয়নি। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, উত্তারাখণ্ডের পার্বত্য এলাকা - বিশেষ করে উত্তরকাশী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা সংবেদনশীল এলাকার মধ্যে পড়ছে। বুধবার ভোরে পশ্চিম নেপালে একটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল পিথোরাগড়, বাগেশ্বর, আলমোড়া, চম্পাওয়াত, উধম সিং নগর, নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, তেহরি, পাউরি, হরিদ্বার, উত্তরকাশী এবং দেরাদুন জেলা সহ পার্বত্য এলাকায়।

বিজ্ঞানীদের কথায় ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয় তৈরি হয়েছিল। সেই থেকেই হিমালয় প্লেটটি ভারতীয় প্লেটের নিচে রয়েছে। ভারতীয় প্লেটটি থ্রাস্টিং সাপেক্ষ। ভারতীয় প্লেটটি নিচে সরে যাওয়ার ফলে স্ট্রেন এনার্জি জমা হচ্ছে। স্টেন এনার্জি ভূমিকল্পের আকারে নির্গত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। শক্তি সঞ্চয়েতরও একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেই শক্তি ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন হিমালয় এলাকায় গত ১৫০ বছরে চারটি বড় ভূমিকল্প রেকর্ড করা হয়েছে। যরমধ্যে রয়েছে ১৮৯৭ সালে শিলং, ১৯০৫ সালে কাংড়া, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল ও ১৯৫০ সালে অসম ভূমিকম্প। তবে হিমালয় এলাকায় প্রতি নিয়ত ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হয় বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

.