সংক্ষিপ্ত

নেপালে আবার ভূমিকল্প। যার জেরে দুলে উঠল দিল্লি। উত্তরাখণ্ড ও উত্তর প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।

 

আবার ভূমিকম্প হিমালয়তে। এবার ভূমিকম্প নেপালে। শনিবার সন্ধ্যায় কেঁপে উঠল পার্বত্য এই রাজ্যটি। যার প্রভাব পড়েছে দিল্লি ও এনআরসি এলাকায়। যা রীতিমত আতঙ্কে ফেলে দেয় স্থানীয়রা।

শনিবার সধ্যে ৭টা ৫৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয় নেপালে। ন্যাশানাল সিসমোলজি সেন্টারের মত কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল নেপাল। কিন্তু তার জেরে দুলে ওঠে দিল্লি, নিউ তেহরি, পিথরোগ়়, বাগেশ্বর, পাউরি-সহ উত্তরাখম্ডের বেশ কয়েকটি এলাকায়। উত্তর প্রদেশের বিস্তূর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।

এক সপ্তাহের কম সময় এই ধরনের দ্বিতীয় কম্পন হয়। এর আগে ৯ নভেম্বর বুধবার ভোরে কেঁপে উঠেছিল নেপাল। যাতে প্রতিবেশী দেশে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। সেই সময়ও দিল্লি ও এনআরসি এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।

 

 

এর আগে বুধবারও কম্পন অনুভূত হয়েছিল অরুণাচল প্রদেশে। ভারতের ন্যাশানাল সিসমোলজি অনুসারে বৃহস্পতিবার ভোরে ভূমিকম্প হয় অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং জেলায়। মাত্রা ছিল ৫.৭ ম্যাগনিচিউড। ন্যাশানাল সিলমোলজির মতে কম্পনের গভীরতা ছিল মাটির প্রায় ১০ কিলোমিটার নিচে। ন্যাশানাল সিসমোলজি জানিয়েছে, 'আজ সকাল ১০.৩১ মিনিটে অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াং-এ ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার নিচে।'

বুধবার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ভারতীয় প্লেটের ওপর ইউরেশিয়ান প্লেটের নিচে ক্রমাগত শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। এই পরিস্থিতি গত ২০০ বছরে তৈরি হয়নি। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, উত্তারাখণ্ডের পার্বত্য এলাকা - বিশেষ করে উত্তরকাশী জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা সংবেদনশীল এলাকার মধ্যে পড়ছে। বুধবার ভোরে পশ্চিম নেপালে একটি কম্পন অনুভূত হয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল পিথোরাগড়, বাগেশ্বর, আলমোড়া, চম্পাওয়াত, উধম সিং নগর, নৈনিতাল, রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, তেহরি, পাউরি, হরিদ্বার, উত্তরকাশী এবং দেরাদুন জেলা সহ পার্বত্য এলাকায়।

বিজ্ঞানীদের কথায় ভারতীয় প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হিমালয় তৈরি হয়েছিল। সেই থেকেই হিমালয় প্লেটটি ভারতীয় প্লেটের নিচে রয়েছে। ভারতীয় প্লেটটি থ্রাস্টিং সাপেক্ষ। ভারতীয় প্লেটটি নিচে সরে যাওয়ার ফলে স্ট্রেন এনার্জি জমা হচ্ছে। স্টেন এনার্জি ভূমিকল্পের আকারে নির্গত হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। শক্তি সঞ্চয়েতরও একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। সেই শক্তি ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে যাচ্ছে।