সংক্ষিপ্ত

এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল পূর্ব রেলের আয়। বাতিল ও পুরনো অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিক্রি করে মাত্র একটি দিনে  পূর্ব রেল আয় করল ৪ কোটি টাকা। আর চলতি বছর বাতিল ও পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রি করে পূর্ব রেল এখনও পর্যন্ত আয় করেছে ২০০ কোটি টাকা।

এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গেল পূর্ব রেলের আয়। বাতিল ও পুরনো অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ বিক্রি করে মাত্র একটি দিনে  পূর্ব রেল আয় করল ৪ কোটি টাকা। আর চলতি বছর বাতিল ও পুরনো যন্ত্রাংশ বিক্রি করে পূর্ব রেল এখনও পর্যন্ত আয় করেছে ২০০ কোটি টাকা। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাতিল ও পুরনো যান্ত্রাংশ বিক্রি করে পূর্ব রেল লক্ষ্যমাত্র ছুঁতে পারবে বলেও মনে করছেন আধিকারিকরা। 

রেলের বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তৎকালীন রেল মন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের আমলে। সেই মতোই বিভিন্ন সময়ে পূর্ব রেল (Eastern Railway) তার বাতিল হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি শুরু করে। এই বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি পূর্ব রেল একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই বিক্রি করা হয়। এতে একদিকে যেমন আয় বাড়ে। ঠিক তার পাশাপাশি কাজের জন্য জায়গার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে রেল ট্রাকের কাছে পড়ে থাকা এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকিও কমে। রেল ট্রাকের দেখভাল করার কাজের সময় এই বাতিল যন্ত্রাংশ থেকে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেই পূর্ব রেল সূত্রে খবর। বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণ উত্তরত্বর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতকালকে এই বাতিল যন্ত্রাংশের বিক্রি থেকে একদিনে রেলের আয় হয়েছে ৮ কোটি টাকা। এবং এই বছরের এখনো অব্দি মোট আয় ২০৩ কোটি টাকার মতো বাতিল হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে পূর্ব রেল। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৮০% অধিক বলেই রেলের তরফে দাবি করা হয়েছে।বিক্রি বৃদ্ধির পরিমান দেখে এই বছর রেল বোর্ড ২৬৫ কোটি টাকার যে লক্ষমাত্রা দিয়েছিল।  সেই লক্ষ্যমাত্রা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের  বছর মার্চ মাসের আগেই পূর্ণ হয়ে যাবে বলেই রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে।

প্রসঙ্গত রেলের যাত্রী টিকিটের দাম না বাড়িয়ে অন্যান্য উপায়ে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় রেল বোর্ড। পাশাপাশি কোভিডের কারণে দীর্ঘ লোকডাউন থাকায় দুরপাল্লা ও লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল অনেক মাস। যার জেরে লোকসানে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় রেলকে। সেই লোকসানের হাত থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে এই বাতিল যন্ত্রাংশ বিক্রি একটি অন্যতম উপায় বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল।