সংক্ষিপ্ত
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিয়ায় থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট বা ইডি গ্রেফতার করল নবাব মালিককে। নবাব মালিক মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দীর্ঘ জেরার পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার পরই নবাব মালিক জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে মাথা নত করবেন না।
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিয়ায় থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট বা ইডি (ED) গ্রেফতার করল নবাব মালিককে (Nawab Malik)। নবাব মালিক মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির (NCP) গুরুত্বপূর্ণ নেতা। দীর্ঘ জেরার পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার পরই নবাব মালিক জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি বলেন 'আমরা লড়াই করব ও জিবত।' নবাব মালিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এনসিপি নেতা ও কর্মীরা।
সূত্রের খবর গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নবাব মালিকের। দাউদের সহযোগীদের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনও চালাতেন তিনি। বেআইনি একটি জমির লেনদেন মামলাও সামনে এসেছিল। তারই ভিত্তিতে জেরা করা হয় নবাব মালিককে। তবে এই মামলায় আগেই তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ইডি একাধিক অভিযান চালিয়েছিল। তারপরই বেআইনি লেনদেনের ঘটনার কিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তারই ভিত্তিতে ইডি হেফাজতে নিয়েছিল দাউদের ভাই ইকবার কাসকারকে। সেই তদন্তেই জমি সংক্রান্ত লেনদেনে সামনে এসেছে নবাব মালিকের নাম।
এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা নবাব মালিকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬২ বছরের নবাব মালিককে নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বইয়ে ইডির অফিসে। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জেরা করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পরই মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা।
তবে নবাব মালিককে গ্রেফতারের ঘটনা প্রতিবাদে সরব হয় এনসিপি নেতা কর্মীরা। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় তাতকর বলেছেন এই ঘটনায় তারা খব হতাশ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা নত না করার পরিণাম বলে বর্ননা করেন গোটা বিষয়টিকে।
শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে এনসিবি গ্রেফতারের পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী মন্তব্য করতে শুরু করেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তদন্তকারী আধিকারিকদেরও একহাত নেন। তাঁর নিশানায় ছিলেন এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। তবে দলীয় নেতার গ্রেফতারি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শরদ পাওয়ারও। তিনি বলেন কারও সঙ্গে দাউদের নাম জড়িয়ে দিয়ে তাকে হেনস্থা করা খুবই সহজ ঘটনা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্মানহানি হয় তাতে।
আর্কিমেডিসের সূত্র দিয়ে মেদিনীপুরের হাতি উদ্ধার, বাহবা কুড়াল সোশ্যাল মিডিয়ায়
মাছি না গলতে পারা নিরাপত্তা অজয় মিশ্রর, ভোট কেন্দ্রে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
'রাজপরিবার চায় দরিদ্ররা পিছিয়ে থাকুক', ভোট প্রচারে বিরোধীদের কটাক্ষ মোদীর