সংক্ষিপ্ত

এই ব্যক্তি ফেসবুকে পাকিস্তানের পতাকা সহ রাম মন্দিরের একটি এডিট করা ছবি এবং তার নীচে বাবরি মসজিদ লিখে পোস্ট করেছিলেন, যার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল।

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠান দেশজুড়ে সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহের সাথে পালিত হয়েছে। অন্যদিকে, কিছু লোক ছিল যারা এই উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক অনুভূতি উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কর্ণাটক পুলিশ এমন একজনকে গ্রেফতার করার পর তাকে জেলে পাঠিয়েছে। কর্ণাটকের গদগ জেলার বাসিন্দা এই ব্যক্তি ফেসবুকে পাকিস্তানের পতাকা সহ রাম মন্দিরের একটি এডিট করা ছবি এবং তার নীচে বাবরি মসজিদ লিখে পোস্ট করেছিলেন, যার বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল। এরপর সোমবার ওই পোস্ট আপলোডকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ছবি এডিটের মাধ্যমে গেরুয়া পতাকার জায়গায় পাকিস্তানি পতাকা ব্যবহার করা হয়েছে

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকে আপলোড করা রাম মন্দিরের ছবি কিছু কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে এডিট করা হয়েছে। এডিটিংয়ের মাধ্যমে গেরুয়া পতাকা সরিয়ে রাম মন্দিরের উপরে পাকিস্তানি পতাকা সাঁটানো হয়। এছাড়াও ছবির নিচে লেখা ছিল 'বাবরি মসজিদ'। এই ছবি ভাইরাল হলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গাদগের হিন্দু সংগঠনগুলি। তাঁরা এই বিষয়ে কর্ণাটক পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন, যার পরে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামীর নাম তাজউদ্দিন দফেদার। তার আপলোড করা ছবি ডিলিট করা হয়েছে।

ভুল করে শেয়ার বলে দাবি

গাদগের পুলিশ সুপার বাবাসাব নেমাগোর মতে, অভিযুক্ত দফেদার গাদগের স্থানীয় বাসিন্দা। তাকে হেফাজতে নিয়েছি এবং সে কোন সংগঠনের সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখছি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিজেকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন যে কেউ তাকে এই ছবিটি পাঠিয়েছিল, যা ভুলবশত ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। নেমাগৌড়ের মতে, মামলার তদন্ত এখনও চলছে।

বাবরি মসজিদ নাম দিয়ে আবেগ 

জানিয়ে রাখি, প্রায় ৫৫০ বছর আগে রাম মন্দির ভাঙার পর সেখানে বাবরি মসজিদ তৈরি করেছিলেন মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি। এই মসজিদের কাঠামো ১৯৯১ সালে রামমন্দির আন্দোলন পরিচালনাকারী বিক্ষুব্ধ কর সেবকরা ভেঙে ফেলেছিল। এরপর আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে অযোধ্যার বিতর্কিত জায়গায় রাম মন্দির তৈরি হয়েছে। ২২ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার এই মন্দিরে রামলালার জীবন আবার পবিত্র করা হয়েছে। এমতাবস্থায় রাম মন্দিরকে বাবরি মসজিদ বলা মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিতে পারে। পুলিশ আধিকারিকদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি শেয়ার করার পিছনে অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য জনগণের অনুভূতি উস্কে দেওয়া বলে মনে হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।