সংক্ষিপ্ত
জমিয়ত উলেমা ই হিন্দের প্রধান মৌলানা আরশাদ মাদানি একটি বিবৃতি জারি করেছে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পশি কোরবানি দেওয়ার সময় মুসলমানদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।
বৃহস্পতিবার ইদ-উল- আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্র উৎসব। এটিকে কোরবানির ইদ বা বখরি ইদও বলা হয়েছে। কিন্তু এই বিশেষ উৎসবের আগে মুসলিমদের সবথেকে বড় সংগঠন, জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দু সতর্ক করেছে মুসলিম সম্প্রদায়কে। বলেছে সরকারি নিয়ম যাতে সকলেই মেনে চলে। পাশাপাশি জবাই করা পশুর ছবি যেন কোনও সমাজমাধ্যমে শেয়ার না করা হয়।
প্রাচীন মুসলিম ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী এই বিশেষ দিনে নবি ইব্রাহিম তাঁর পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি হিসেবে প্রদান করেছিলেন। তাই এই বিশেষ দিনে মুসলিম সম্প্রদায়ে কোরবানির দিন হিসেবে পালন করে। প্রত্যেক দেশেই এই বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করা হয়। প্রত্যেক দেশের বাসিন্দারা নিজ নিজ দেশে আইন মেনে পশুকে কোরবানি দেয়। আল্লাহর উদ্দেশ্যে এই কোরবানিকেই কোরবানির ইদ বলা হয়। কিন্তু এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দেশে যাতে কোনও অশান্তি না ছড়ায় তার জন্য সোমবার থেকেই সতর্ক করেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় সংগঠন।
জমিয়ত উলেমা ই হিন্দের প্রধান মৌলানা আরশাদ মাদানি একটি বিবৃতি জারি করেছে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পশি কোরবানি দেওয়ার সময় মুসলমানদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনেই উৎসবে সামিল হতে হতে হবে। জবাই করা কোনও পশুর ছবি সোশ্যা মিডিয়ায় শেয়ার না করার আহ্বান বিশেষ করে জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই কোরবানি দিতে হবে। যেসব পশু কোরবানি বা হত্যার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে সেগুলিকে কখনও হত্যা করা যাবে না। আইন মেনে কোরবানির অনুষ্ঠান হতে তাতে যদি কেউ বাধা দেয় তাহলে আইন হাতে তুলে না দিয়ে প্রশাসনিক সাহায্য নেওয়াই শ্রেয়। পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে হবে।
মাদানি এই কোরবানির উৎসব উপলক্ষ্যে মুসলিমদের পরিষ্কার পরিচ্ছতার বিশেষ যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন কোরবানির পরে পশুর বর্জ্য রাস্তায় বা নর্দমায় ফেলা ঠিক নয়। সেগুলি একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাটিতে পুঁতে দিতে হবে, যাতে দুর্গন্ধ না বার হয়- দূষণ না ছড়ায়।
জমিয়ত প্রধান আরও বলেছেন, মুসলমান সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডে যাতে সাধারণ মানুষ আঘাত না পায় তার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করে এমন উস্কানি কান না দেওয়াই শ্রেয়। উস্কানিমূলক কাজের সঙ্গী না হতেও বলেছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানে কোরবানির উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ছাগল, ভেঁড়া , উট, গরু জবাই করে আল্লাহর উদ্দেশ্যে।
আরও পড়ুনঃ
নাবালিকা ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়ার অভিযোগ, গ্রেফতার নাট্য শিক্ষক রাজা ভট্টাচার্য
'তাঁর আমলে ২৬ হাজারেও বেশি বোমা ফেলা হয়েছে', ওবামার ভারতীয় মুসলিম মন্তব্যে তোপ রাজনাথের