সংক্ষিপ্ত
রাজা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন ছাত্রী। নির্যাতিতার অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সরব হওয়ার পরেই রাজা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সমঝতায় আসতে চান।
দিনের পর দিন ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা। এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হল নাট্য নির্দেশক রাজা ভট্টাচার্যকে। সোমবার পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে। কয়েক দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি ছিল চর্চার। নাটকের শিক্ষক রাজা ভট্টাচার্য তরুণীকে দিনের দিন ধরে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন। নাবালিকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে রাজা ভট্টাচার্য অশালীন আচরণ করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিপিবন্ধ করেছে।
যদিও নির্যাতিতার অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সরব হওয়ার পরেই রাজা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী তাঁর সঙ্গে সমঝতায় আসতে চান। তাতে রাজি না হয়ে নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে শিশু সুরক্ষা কমিশনের দ্বারস্থ হয়। নির্যাতিতা দেখা করেছিলেন শিশু অধিকারী সুরক্ষা কমিশনের চেয়ার পার্সেন সুদেষ্ণা রায় ও অন্য সদস্য অনন্যা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারপরই প্রভাবশালী রাজা ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে বাঁশদ্রোনী থানার পুলিশ।
যদিও প্রথম দিকে তরুণী যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজা ভট্টাচার্যের আসালীন কাহিনি ফাঁস করে তখন তার প্রতিবাদ করেছিলেন নাট্যকার। কিন্তু পুলিশ সূত্রের খবর নির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে। নির্যাতিতার তখন মাত্র ১২ বছর বয়স। 'ব্ল্যাক ভার্স' নামে একটি নাটকের দলে অভিনয় শেখার জন্য নির্যাতিতা ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই রাজা ভট্টাচার্যের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হন তিনি। নির্যাতিতা তাঁর ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, ক্লাসের কোনায় অন্ধকারে টেনে নিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতেন রাজা ভট্টাচার্য। অভিভাবকদের সামনেই তাঁর মাথা টিপে দেওয়ার ফরমাস করতেন। তিনি আরও বলেছেন, সেসময় তাদের মত আরও মেয়েদের বুকে পেটে নিজের মাথা ঘোষতেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, সকলের সমানে নাট্যকার পিতৃস্নেহের ভাব ফুটিয়ে তুলতেন নিপুন ভাবে। কিন্তু তাঁর মনের মধ্যে ছিল লালসা আর পাপ। নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন ক্লাসের আধ ঘণ্টা আগেই তাঁকে ডেকে নিতেন। তারপর তাঁর ওপর চলত যৌন নির্যাতন।
আরও পড়ুনঃ
পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করা হোক, আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের রায় খারিজ, এক সদস্যের কমিশন গঠন কলকাতা হাইকোর্টের