সংক্ষিপ্ত

সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশে আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। এরপর সরকার আর কোনো নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ দফা ও তারিখ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। শনিবার ১৬ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন করে লোকসভা নির্বাচন ও কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হল। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান ১৯শে এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। মোট ৭ দফায় ভোট হবে। 

প্রথম দফা - ১৯শে এপ্রিল ভোটগ্রহণ (২১টি রাজ্য)

দ্বিতীয় দফা- ২৬শে এপ্রিল ভোটগ্রহণ

তৃতীয় দফা-  ৭ই মে ভোটগ্রহণ

চতুর্থ দফা- ১৩ই মে ভোটগ্রহণ

পঞ্চম দফা-  ২০ শে মে ভোটগ্রহণ

ষষ্ঠ দফা-  ২৫শে মে ভোটগ্রহণ

সপ্তম দফা-  ১লা জুন ভোট গ্রহণ

দেশে লোকসভা নির্বাচন কবে হবে, বিকেল ৩টেয় এক সংবাদ সম্মেলনে তা ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। দেশের মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের জন্য ৭টি ধাপে নির্বাচন করা যেতে পারে। উল্লেখ্য ১৬ই জুন শেষ হচ্ছে বর্তমান লোকসভার মেয়াদ। 

২৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে। বাংলার ২টি আসন (ভগবানগোলা ও বরানগর) সহ একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচন হবে। ওই এলাকার লোকসভা নির্বাচনের তারিখের সঙ্গেই হবে উপ নির্বাচন বলে জানানো হয়েছে।  

 

 

রাজীব কুমার জানান ৯৭ কোটি নিবন্ধিত ভোটার রয়েছে গোটা দেশে। দেশে ১০ লক্ষেরও বেশি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। দেড় কোটিরও বেশি ভোট কর্মী সারা দেশে ভোটগ্রহণের কাজে ব্যস্ত থাকেন। ১ কোটি ৮২ লক্ষ নতুন ভোটার এবার ভোট দেবেন। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪৯ কোটি। মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৪৭ কোটি। শতায়ু ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষের বেশি। ৮৫ বছরের বেশি বয়স্কদের বা বিশেষভাবে সক্ষম ভোটারদের বুথে যেতে হবে না।

শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজীব কুমার বলেন পেশিশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করা হবে। প্রত্যেক জেলায় কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। টোল ফ্রি নম্বর ১৯৫০-তে ফোন করে জানানো যাবে অভিযোগ। অস্থায়ী বা চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ভুয়ো খবর রুখতে কড়া নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনওভাবেই বসিয়ে রাখা চলবে না। জেনে রাখা ভালো যে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশে আচরণবিধি কার্যকর হয়ে গিয়েছে। এরপর সরকার আর কোনো নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনও সাত দফায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

শুক্রবার নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন

বৃহস্পতিবার নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার বাছাই করা হয়। এরপর গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার তাঁরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধু নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতিতে নেমে পড়েন। 

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।