সংক্ষিপ্ত

১০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানায় যে অমিত শাহের ‘ওরা ২০০২ সালে উচিত শিক্ষা পেয়েছে’ মন্তব্যটি কোনও ভাবেই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেননি। কারণ তার এই বক্তব্য কোনোভাবেই গুজরাট নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

কেজরিওয়ালের ভবিষ্যৎবাণীকে ভুল প্রমাণিত করে ফের গুজরাটের মসনদ দখল করলো বিজেপি। কিন্তু ভোটপ্রচারের বিজেপি ও আপের শীর্ষনেতৃত্বদের একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য এখনও চর্চিত হচ্ছে গণ মাধ্যমগুলোতে। ভোটপ্রচারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্যকে ঘিরে একাধিকবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশে। এমনকি তার কিছু মন্তব্যকে 'উস্কানিমূলক' আখ্যা দিয়ে , সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে বহু । এবার সেসব অভিযোগকেই ধূলিস্যাৎ করে দিলো নির্বাচন কমিশন। ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তার এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানায় যে অমিত শাহের ‘ওরা ২০০২ সালে উচিত শিক্ষা পেয়েছে’ মন্তব্যটি কোনও ভাবেই নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেনি। কারণ তার এই বক্তব্য কোনোভাবেই গুজরাট নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলেনি।

গত ২৫ সে নভেম্বর গুজরাটের খেরাতে এক প্রচার সভায় অমিত শাহ বলেন ‘ওরা ২০০২ সালে উচিত শিক্ষা পেয়েছে’ . তার বক্তব্যের সারাংশ করলে দাঁড়ায় যে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাবাজদের বিজেপি এমন শিক্ষা দিয়েছিল যে পরবর্তীকালে তারা আর কেউ কোনোদিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। এভাবেই বিজেপিই ভারতবর্ষে 'স্থায়ী শান্তি ' ফিরিয়ে এনেছে।এই বক্তব্য ঘিরেই তখন তোলপাড় হয় ভারতবর্ষ। বিরোধী দলেরা অভিযোগ তোলে যে এই বক্তব্য ভারতবর্ষের হিন্দু- মুসলিম বিবাদকে আরও উস্কানি দিচ্ছে।

কিন্তু তাদের সেই সমস্ত অভিযোগ খারিজ করে দিলো এবার নির্বাচন কমিশন।নির্বাচন কমিশনের এমন বিবৃতির পর কমিশন কতটা নিরপেক্ষ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ।