Election Commission of India: ভুয়ো ভোটার কার্ড এবং ভোটার তালিকায় জালিয়াতি রুখতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেসের মতো দলগুলির দাবি অনুযায়ী সক্রিয় হচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
Aadhaar-VoterID Link: কেন্দ্রীয়সরকার শীঘ্রই আধার কার্ডকে (Aadhar) ভোটার আইডি-র (Voter ID) সঙ্গে যুক্ত করার কাজ শুরু করতে চলেছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) ভোটার আইডি-র সঙ্গে আধার যুক্ত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। সংবিধানের ৩২৬ ধারা, ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধি আইন এবং সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) রায় অনুযায়ী সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থেকে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন। এর জন্য শীঘ্রই আধারের নিয়ামক সংস্থা UIDAI এবং নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা শুরু হবে। ভোটার আইডি-কে আধারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারলে এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বাড়বে। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগের স্থায়ী ও বিজ্ঞানসম্মত সমাধান বের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপ সেই ভোটারদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে, যাঁরা একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম আছে।
কবে আধার-ভোটার আইডি সংযোগ হবে?
সংসদে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আধার-ভোটার কার্ড যুক্ত করার কাজ ধীরে ধীরে হবে। এর জন্য কোনও সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, যে সব ব্যক্তি তাঁদের আধারের তথ্য ভোটার আইডি-র সঙ্গে যুক্ত করবেন না, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে সরানো হবে না। জন প্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ২৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ভোটার রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক পরিচয়পত্রের জন্য ভোটারের ইচ্ছানুসারে আধার কার্ড দেখতে চাইতে পারেন।
আধার-ভোটার আইডি যুক্ত হলে গোপনীয়তা বজায় থাকবে?
আধার-ভোটার আইডি যুক্ত করার ক্ষেত্রে সবথেকে বড় প্রশ্ন হল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে। যখন আধার এবং ভোটার আইডি-র ডেটাবেস একসঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে, তখন এটিকে সুরক্ষিত করাও ততটাই কঠিন হবে। এমন সফটওয়্যার এবং টুলের প্রয়োজন হবে, যাতে মানুষের মনে কোনওরকম আশঙ্কা না থাকে যে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য কেউ চুরি করতে পারে বা এর অপব্যবহার হতে পারে। এছাড়াও এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগেই বলেছে যে, আধারকে কোনও সরকারি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত করার জন্য এটা প্রমাণ করা জরুরি হবে যে সত্যিই এর প্রয়োজন আছে এবং এতে কোনও ক্ষতি হবে না। কারণ, এটা শুধু প্রশাসনিক প্রক্রিয়া নয়, বরং নির্বাচনী ব্যবস্থার উপর জনগণের বিশ্বাসের সাথে জড়িত বিষয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
