সংক্ষিপ্ত

 

  • মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করতে পারেন নির্বাচন কমিশনার
  • এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে
  • সেই কারণেই  নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন অশোক লাভাসা
  • এর আগে ১৯৭৩ সালে মেয়াদ শেষের আগে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নাগেন্দর সিং

ভারতের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে এখনও ২ বছরের মেয়াদ বাকি রয়েছে অশোক লাভাসার। কিন্তু তার আগেই অবশ্য সেই পদ ছেড়ে দেওয়ার  সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ,  ফিলিপিন্সের এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বুধবার অশোক লাভাসার নিযুক্তির কথা জানানো হয়েছে। সেই দায়িত্ব নেওয়ার কারণেই  খুব শীঘ্র নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন লাভাসা।

২০১৮ সালের ২৩শে জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার হিসাবে যোগ দান করেন লাভাসা। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মুখ্য় নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে অবসর নেওয়ার কথা লাভাসার। মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার পদের মেয়াদ শেষের আগেই পদত্য়াগ করার নজির হিসেবে দ্বিতীয় হতে চলেছেন অশোক লাভাসা। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের সম্মতি মেলার পরই এডিবি-তে লাভাসার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। তবে, এ ব্য়াপারে কোনও মন্তব্য় করতে চাননি লাভাসা। নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে লাভাসা ইস্তফা দিয়েছেন তিনা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে সস্তার কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট তৈরি করল ভারত, আত্মপ্রকাশ করল 'করসিওর'

এর আগে, ১৯৭৩ সালে মেয়াদ শেষের আগেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নাগেন্দর সিং। তিনি এই পদে ইস্তফা দিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের বিচারক হয়েছিলেন।

এদিকে আগামী দু’বছরে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, মণিপুর, গোয়া-সহ আরও বেশ কিছু রাজ্যের নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল অশোক লাভাসার হাতে। এমনকি ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে  বিধানসভা নির্বাচন করানোর কথাও ছিল তাঁর। তার আগেই এডিবি-তে তাঁর নিযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে শিথিলতা দেখা গিয়েছে।  গতবছর লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ থেকে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে ছাড় দেওয়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন অশোক লাভাসা। তার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগ ওঠে। লাভাসার ছেলে যে সংস্থার ডিরেক্টর, সেখানেও হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।    

তাঁকে সততার মূল্য দিতে হচ্ছে বলে সে সময় মন্তব্য করেছিলেন লাভাসা। তিনি বলেন, ‘‘সততার মূল্য দিতেই হয়। তার জন্য তৈরি থাকতে হবে। তাতে সরাসরি ব্যক্তিবিশেষের বা  পারিপার্শ্বিক ক্ষতি হতে পারে। এ সবই সততারই অঙ্গ।’’

আরও পড়ুন: বিজেপিকে ধন্যবাদ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, কেজরিওয়াল বললেন একা লড়লে হেরে যেতাম

ফিলিপিন্সের এশিয়ান ডেভলপমেন্ট  ব্যাঙ্কটিতে এই মুহূর্তে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে রয়েছেন আর এক ভারতীয়, দিবাকর গুপ্তা। আগামী ৩১ অগস্ট তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে। দিবাকর গুপ্তার  উত্তরসূরি হিসেবে ভারত সরকারের তরফে লাভাসার নাম সুপারিশ করা হয়েছে  বলেই  জানা গিয়েছে।