সংক্ষিপ্ত
বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২২৩টি আসনে। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৯৮ টি আসনে। তবে ১০০ আসনে এগিয়ে থাকতে কংগ্রেসকে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে।
'আবকি বার ৪০০ পার' এই স্লোগান তুলেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করেছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ এমনকি বিজেপির ছোট বড় সকল নেতার মুখে মুখে ফিরত এই স্লোগান। এক্সটি পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষায় বিজেপি পক্ষে ম্যানডেট রয়েছে। কিন্তু গণনা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হতে থাকে বিজেপির ধস। উত্তর প্রদেশ থেকে শুরু করে একাধিক রাজ্যে আসন কমেছে। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষ কংগ্রেস দীর্ঘদিন বাদে আসন সংখ্যায় সেঞ্চুরির অপেক্ষায় রয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ২২৩টি আসনে। আর কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৯৮ টি আসনে। তবে ১০০ আসনে এগিয়ে থাকতে কংগ্রেসকে যথেষ্টই বেগ পেতে হয়েছে। অন্যদিকে এনডিএ জোট এগিয়ে রয়েছে ২৯৫টি আসনে। আর ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে রয়েছে ২২৯টি আসনে।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের ট্রেন্ড অনুযায়ী বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ট দল হলেও একক সংখ্যা গরিষ্টতা হারাতে পারে। কারণ ভারতের সংবিধান অনুযায়ী দিল্লিতে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগার ২৭২। তার থেকে এখনও পর্যন্ত অনেকটাই পিছেয়ে রয়েছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে পেয়েছিল ২৯৩টি আসন। সরকার পক্ষের দখলে ছিল ৩২৪টি আসন। বিজেপির সহযোগী দল হিসেবে সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিল নীতিশ কুমারের জেডিইউ। লোকসভায় মোট আসন সংখ্যা ৫৪৩।
গত লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের মধ্যে পাকাপাকি কোনও জোট হয়নি। এককভাবেই লড়াই করেছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ৫১টি আসন। যার থেকে এবার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। দুপুর ২টো পর্যন্ত ৯৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। আর ইন্ডিয়া জোট ২৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
এই অবস্থায় বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারাতে পারে বলেও আশঙ্কা গেরুয়া শিবিরে। তবে এখনও পর্যন্ত বিজেপির কোনও নেতারা এই বিষয়ে মুখ খোলেননি। অন্যদিকে বিজেপি রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে উত্তর প্রদেশ আর মহারাষ্ট্রে। উত্তর প্রদেশে ৮০টির মধ্যে অখিলেশের দখলে রয়েছে ৩৭টি আসন। বিজেপি ৩৩টি। মহারাষ্ট্রেও এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস ও এনসিপি জোট।