সংক্ষিপ্ত
নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের মাধ্যমে দাতা ও অর্থ গ্রহীতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সংখ্যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলিকে কিভাবে লাভবান করেছিল।
ভারতের নির্বাচন কমিশন নিজেদের ওয়েবসাইটে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দেওয়া নির্বাচনী বন্ডের সম্পূর্ণ তথ্য আপলোড করেছে। এবার নির্বাচনী বন্ডে পাওয়া যাবে দাতারা কত টাকার বন্ড কিনেছিল, কত তারিখে বন্ড কেনা হয়েছিল, কোন রাজনৈতিক দলের নামে বন্ড কিনেছিল আর কত টাকার বন্ড তারা কিনেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই এদিন এসবিআই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তারপরই সেই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
এবার নির্বাচনী বন্ডের তথ্যের মাধ্যমে দাতা ও অর্থ গ্রহীতার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সংখ্যার মাধ্যমে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। তাতে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোম্পানিগুলিকে কিভাবে লাভবান করেছিল। এই তথ্যের মাধ্যমে কেন্দ্র ও রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা রাজনৈতিক দলগুলিকে সংস্থাগুলি যে অনুদান দিয়েছিল তার মধ্যে অস্থায়ী যোগসূত্র প্রকাশ করেছে। অনেকেই দাবি করেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যেমে রাজনৈতিক দলগুলি অর্থ সাহায্য নিয়ে অনুদানকারী সংস্থাগুলিকে সাহায্য করেছিল। এবার সেই অভিযোগ আরও স্পষ্ট হবে বলেও আশা করেছে। কারণ এবার বন্ডের ক্রমিক সংখ্যা থাকার কারণে ডেটা বিশেষজ্ঞরা সহজেই কোনও সংস্থা কোনও রাজনৈতিক দলকে কত টাকা দিয়েছিল তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল নির্বাচনী বন্ড ইস্যুকারী একমাত্র ব্যাঙ্ক হল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। কিন্তু মামলাকারীরা ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য অস্পূর্ণ ডেটা বলেও অভিযোগ করেছিল। তারপরই সুপ্রিম কোর্ট কড়া নির্দেশ দিয়েছিল যে এদিন বিকেল পাঁচটা মধ্যে ব্যাঙ্ককে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে। তারপরই এসবিআই এই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য পাঠিয়েছিল কমিশনে। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছিলেন, 'আমরা চাই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য প্রকাশ পাক যা ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে। ব্যাঙ্কের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে কী করে তারা নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। আপনারা বলে দিন আমরা কী করব.. তাহলে আমরা সেই পদক্ষেপই করব। 'গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে দিয়েছিল। পাশাপাশি অনুদানের তথ্য প্রকাশ করতেও নির্দেশ দিয়েছিল।