Starlink News: ভারতের নেটপরিষেবায় খুলে যাচ্ছে নতুন দিগন্ত। ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক ভারতে বাণিজ্যিকভাবে কাজ করার জন্য লাইসেন্স পেলো। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Starlink News: ভারতে স্টারলিংকের বাণিজ্যিক লঞ্চের পথে বড় পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Narendra Modi)। অবশেষে ভারতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা অতিক্রম করলো ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা 'স্টারলিংক' (Starlink)। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ভারত সরকারের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন লাভ করেছে Elon-এর সংস্থা। যা তাদের বাণিজ্যিক ভাবে এই নেটওয়ার্ক পরিষেবা লঞ্চের আরও কাছে নিয়ে এসেছে। গত প্রায় দুই বছর ধরে এই অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল স্টারলিংক। এই অনুমোদনের ফলে ভারতে স্টারলিংকের পরিষেবা চালু হওয়ার পথ অনেকটাই সুগম হলো। এটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দিতে সহায়ক হবে।

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শুক্রবারই মোদী সরকারের কাছ থেকে ভারতে স্টারলিঙ্ক পরিষেবা চালুর প্রথম ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে টেসেলার কর্ণধার ইলন মাস্ক। এবার শুধু সময়ের অপেক্ষা। সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে এই অনুমোদনের ফলে স্টারলিংকের ভারতে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর পথে অন্যতম প্রধান বাধা দূর হলো। প্রায় দুই বছর ধরে এই অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল ইলনের সংস্থা।

জানা গিয়েছে, এবার এই অনুমোদনপ্রাপ্তির ফলে স্টারলিংক এখন ভারতের বাজারে দ্রুতগতির স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য পরবর্তী ধাপের কাজকর্ম শুরু করে দিতে পারবে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের মোদী সরকারের এই বাণিজ্যিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নয়নের একটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার পথে বড় পদক্ষেপ, লাইসেন্স পেল স্টারলিঙ্ক (Starlink News Update):-

২০২২ সালে ভারতে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিল ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক, কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে এই কাজের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন আটকে ছিল। অবশেষে কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন পেয়ে বড় এক বাধা কাটিয়ে উঠল স্টারলিঙ্ক। অন্যদিকে, অ্যামাজনের স্যাটেলাইট প্রকল্প ‘কুইপার’ এখনও ভারত সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সম্প্রতি স্টারলিঙ্ক এবং রিলায়েন্স জিও-র মধ্যে ভারতের স্পেকট্রাম বণ্টন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। জিও দাবি করেছিল, মোবাইল নেটওয়ার্কের মতোই নিলামের মাধ্যমে স্পেকট্রাম বরাদ্দ করা হোক। তবে স্টারলিঙ্ক চেয়েছিল, নিলাম ছাড়াই সরাসরি বরাদ্দ দেওয়া হোক। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে স্টারলিঙ্কের দাবিকেই সমর্থন করা হল। ভারতে কাজ করার লাইসেন্স পেয়ে গেল Starlink ।

যদিও এখনও স্টারলিঙ্ক বা টেলিযোগাযোগ দফতরের (DoT) পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি, এই অনুমোদন ভারতের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ অঞ্চলে সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে হবে বলেই আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। যেখানে প্রচলিত মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছাতে ব্যর্থ, সেখানে স্টারলিঙ্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের ইন্টারনেট পরিষেবার মানচিত্রে এক বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ইলন মাস্কের স্পেস এক্সের উদ্যোগে স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার অনুমোদন দিলো ভারত। এর আগে ২০২১ সালে ভারতে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করতে প্রথমে Department of telecommunication (Dot) -এ প্রি বুকিং করেছিল অপারেটর লাইসেন্স ছাড়াই। কিন্তু অপারেটর লাইসেন্স ছাড়া Dot তাদের অনুমোদন দেয়নি সেবার।

আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল যে, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ভারত সরকার স্টারলিঙ্ককে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স প্রদান করবে। তবে তো নির্দিষ্ট শর্তবলীর অধীনে থাকবে। এই শর্তাবলী অনুযায়ী ভারতের সমস্ত ব্যবহারকারীর ডেটা ভারতেই সংরক্ষিত থাকবে এবং গোয়েন্দা বিভাগ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরকারি বিভাগগুলিতে ডেটা সরবরাহ করতে হবে। ষ্টারলিংক এই শর্তাবলী মেনে নিয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় লাইসেন্সের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন। এই বিষয়ে গত ৮ মে কেন্দ্রের এক সরকারি আধিকারিক বলেন, "হ্যাঁ, ভারতে GMPCS, VSAT এবং ISP লাইসেন্সের জন্য Dot কর্তৃক স্টারলিংককে LoI (letter of intent) জারি করা হয়েছে। স্টারলিংক সমস্ত লাইসেন্সের শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হলে চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হবে।"

অবশেষে আজ ঘটল সেই প্রতীক্ষার অবসান। ভারতে কাজ করার জন্য অনুমতি পেলো ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক (Starlink)। যারফলে এবার থেকে ভারতের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সহজেই মিলবে ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক পরিষেবাও। তবে এখন দেখার লাইসেন্স মিললেও কতদিনে সম্পূর্ণ রূপে কার্ষকর হয় এই পরিষেবা। সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।