সংক্ষিপ্ত
- অফিসের কাজে দিল্লি গিয়েছিলেন এক যুবক
- লকডাউনের সময় সেখানেই আটকে পড়েন তিনি
- কর্মী দিল্লিতে থাকায় সংস্থার অনেক টাকা খরচ হয়েছে
- সেই কারণেই ওই কর্মীর উপর রাগে ফুসছিল মালিক
বিশ্বের মত এদেশেও মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। তার ফলে গত মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন ঘোষণা করে দেয় দেশজুড়ে। এরফলে অনেকেই দেশের নানা প্রান্তে কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েন। এমনি ঘটনা ঘটেছিল মহারাষ্ট্রের কোথরাডের এক জীবনে। নিজের সংস্থার কাজে দিল্লিতে গিয়ে লকডাউনে আটকে পড়েন তিনি। দিল্লিতে ওই ব্যক্তির জন্য অনেক টাকা খরচা হয়েছে সংস্থার। সেই অজুহাতেও ওই যুবকের গোপনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করার অভিযোগ উঠল সংস্থার কর্তার বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, নিগৃহীত যুবক ওই সংস্থায় ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। সংস্থাটি শিল্পীদের আঁকা ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করে। সেই কাজেই গত মার্চ মাসে লকডাউনের আগে দিল্লি গিয়ে আটকে পড়েন তিনি । দিল্লিতে তাঁর সমস্ত খরচ সংস্থাকেই বহন করতে হয় । এরপর লকডাউন শিথিল হতে গত ৭ মে পুণেতে ফিরে আসেন ওই ব্যক্তি । তখন তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয় । কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার আগে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর ফোন ও সমস্ত ডেবিট কার্ড নিয়ে নেন সংস্থার মালিক ।
গত ১৩ জুন ম্যানেজারের কাছ থেকে দিল্লিতে খরচ করা ওই পুরো টাকাটাই দাবি করে মালিকপক্ষ । বিপুল ওই টাকা দিতে না পারায় ম্যানেজারকে নিজের ফার্ম হাউসে তুলে নিয়ে যায় মালিক । সেখানে আরও দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিল । তিন জন মিলে বেধড়ক মারধর করে বছর তিরিশের ওই যুবককে । এরপর তাঁর গোপনাঙ্গে স্যানিটাইজার ঢেলে ছেড়ে দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন: করোনা সঙ্কটের মধ্যে এবার হানা দিল প্লেগ, চিনের জন্যে আরেক মহামারির আশঙ্কা বিশ্বে
মালিকের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়ে এরপর এক বেসরকারি হাসাপাতালে ভর্তি হন নিগৃহীত ব্যক্তি। এরপর গত ২ জুলাই পাউদ থানায় এই ব্যাপারে একটি এফআইআর দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পত্রে গত ১৩ ও ১৪ জুন এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি।