সংক্ষিপ্ত
- জানেন কি ওই গুহায় বসে আপনিও ধ্য়ান করতে পারেন।
- এর জন্য বেশি কাঠখড় পোড়ানোর প্রয়োজন নেই।
- মাত্র ৯০০ টাকা খরচ করলেই এই গুহায় আপনিও থাকতে পারবেন।
কেদারনাথের গুহায় এক রাত্রি ধ্যান করে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গেরুয়া বস্ত্রে গুহায় বসে তাঁর ধ্যানের ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু জানেন কি ওই গুহায় বসে আপনিও ধ্য়ান করতে পারেন। এর জন্য বেশি কাঠখড় পোড়ানোর প্রয়োজন নেই। মাত্র ৯০০ টাকা খরচ করলেই এই গুহায় আপনিও থাকতে পারবেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, এই গুহায় একদিন থাকতে ভাড়া দিতে হবে ৯০০ টাকা। কারণ এটি দেখতে গুহার মতো হলেও, আদপে এতে রয়েছে হোটেলের সমস্ত রকমের সুবিধা।
পাথরের দেওয়াল। কিন্তু এতে রয়েছে কাঠের দরজা। এছাড়াও গড়েওয়াল মণ্ডস বিকাশ নিগম এর এই গুহায় বসে ধ্যান করতে বিশেষ কষ্ট হবে না, কারণ রয়েছে গিজারস রুম হিটার, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদি। ঘণ্টা বাজিয়ে ডাক দিলেই এসে হাজির হবেন বেয়ারা। পছন্দ মতো জল খাবার, চা সবই আপনার সামনে সাজিয়ে দেবেন। রয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শৌচালয়ের ব্যবস্থাও। প্রয়োজনে ফোন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে এই গুহাবাসে।
এই গুহাবাসে একদিনের জন্য খরচ মাত্র ৯০০ টাকা। কিন্তু আগে এর ভাড়া বেশি ছিল। একসঙ্গে তিন দিনের বুকিং করতে হতো ৩০০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু ঠান্ডায় অত ভাড়ায় তেমন পর্যটক না আসায় কমে গুহার ভাড়া। কিন্তু ওই গুহায় একজনের বেশি কেউ থাকতে পারবেন না।
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই গুহা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে এথনও পর্যন্ত দুজন এই গুহায় থেকেছেন। একদন দেশের প্রধানমন্ত্রী। আর অন্যজন মহারাষ্ট্রের বোরিভলির এক যুবক। কিন্তু এই পুরো আইডিয়াটাই নরেন্দ্র মোদীর বলে জানিয়েছে গড়েওয়াল নিগম। তিনি চান এইভাবেই মানুষের ধ্যানের প্রতি আগ্রহ বাড়ুক।
কীভাবে ভাড়া নিতে হয় এই গুহা-
গড়েওয়াল নিগমের গুপ্তকাশী দফতরে যোগাযোগ করতে হবে। যিনি থাকবেন তাঁর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখা হবে। চিকিৎসক বললে তবেই থাকতে পারবেন। বুকিং করার পরে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না এই গুহাবাসে।