সংক্ষিপ্ত
টিকাইত বলেন যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ হল সেই সমস্ত ৭৫০জন কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা আন্দোলনের সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন।
কৃষি বিল প্রত্যাহার (Farm laws repealed) হয়েছে। কেন্দ্র পিছু হঠেছে। কিন্তু আনন্দ উৎসব পালন করার কোনও অবকাশ নেই। এমনই মত ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন (Bharatiya Kisan Union) নেতা রাকেশ টিকাইতের (Rakesh Tikait)। টিকাইত বলেন যে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল, ২০২১ হল সেই সমস্ত ৭৫০জন কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা, যারা আন্দোলনের সময় প্রাণ হারিয়েছিলেন। টিকাইত গত নভেম্বর মাস থেকে দিল্লির গাজিপুর সীমান্তে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন যে সরকার যদি চায় দেশে কোনও বিক্ষোভ না হোক তবে এমএসপি এবং অন্যান্য সমস্যাগুলির সমাধান করে দিক।তবেই ঘরে ফিরবেন কৃষকরা।
রাকেশ টিকাইত এদিন জানান, সরকার ফের আলোচনায় বসুক। কৃষক নেতাদের ডাকা হোক সেই আলোচনায়। এমএসপি বা সরকারি নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আলোচনা চলুক। সেই সমস্যার অবিলম্বে সমাধান করা হোক। টিকাইত কৌশাম্বিতে সাংবাদিকদের বলেন, "এমএসপি সহ অন্যান্য বিষয়গুলি এখনও বিচারাধীন থাকায় বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে। কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা আশার খবর। রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্ট্যাম্প লাগান তারপর আমরা ৭৫০ জন কৃষকের মৃত্যু, এমএসপি এবং কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলি বাতিল করার মতো অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করব"।
সোমবার সংসদের দুই কক্ষেই আজ ধ্বনি ভোটে পাস হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। আলোচনা ছাড়াই বিল পাস হওয়ায় সরব হয় কংগ্রেস। সোমবার বিরোধীদের হই হট্টগোলের মধ্যেই এই আইন প্রত্যাহার করারা জন্য আনা বিল পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্র। সকালে মুলতুবি হওয়ার পর ফের অধিবেশন শুরু হয় বেলা ১২টায়। ১২টা বেজে ৬ মিনিট নাগাদ টেবিলে আসে কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ১২টা বেজে ১০ মিনিটে পাস হয়ে যায় সেই বিল। ধ্বনি ভোটে লোকসভায় পাস করা হয় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলির দলনেতারা মঙ্গলবার এনিয়ে একটি বৈঠক করবেন। সেখানে প্রায় ১৪টি দল উপস্থিত থাকবে। তবে সেই বৈঠকে তৃণমূলে যোগ দেবে কিনা তা জানা যায়নি। সেখানেই এনিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক।'
এদিকে, আলোচনা ছাড়া কৃষি আইন বাতিলের কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন এনডিএ সরকার সব রকম আলোচনা থেকেই পালাতে চাইছে। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রাহুল গান্ধী বলেন যে পদ্ধতিতে কৃষি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা একনায়কতন্ত্র মনোভাবের পরিচায়ক। কোনও গণতান্ত্রিক দেশে আলোচনা ছাড়া একক সিদ্ধান্ত আরোপিত হতে পারে না।