সংক্ষিপ্ত
সংঘর্ষের জেরে ট্রেনের অধিকাংশ কামরাই বেলাইন হয়েছে। ফলে প্রচুর হতাহতের আশংকা থাকছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে।
ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে একই লাইনে একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেসের। বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে এই ট্রেন। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে দুর্ঘটনার যা প্রাথমিক ছবি দেখা গিয়েছে, তাতে অনেক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন রেল কর্তারা।
রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সংঘর্ষের জেরে ট্রেনের অধিকাংশ কামরাই বেলাইন হয়েছে। ফলে প্রচুর হতাহতের আশংকা থাকছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল এবং চেন্নাই যাচ্ছিল। বালেশ্বর স্টেশনের কাছে ট্রেনটির স্লিপার ক্লাস, প্যান্ট্রি কার সহ বেশ অনেকগুলি বগি বেলাইন হয়ে যায়।
হাওড়ার শালিমার স্টেশন শুক্রবার দুপুরে ট্রেনটি ছাড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর স্টেশন ছাড়ে বিকেল সওয়া ৫টায়। সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ ট্রেনটি পৌঁছয় বালেশ্বরে। কাছেই বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি।
বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে যে বালাসোরের কালেক্টরকেও সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করার জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য স্তর থেকে কোনও অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন হলে এসআরসিকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, CPRO দক্ষিণ রেলওয়ের মতে, অনেক বগি লাইনচ্যুত হওয়ার তথ্য রয়েছে। কতজন আহত হয়েছেন তা এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, পণ্যবাহী ট্রেনের ধাক্কায় ট্রেনের ১৭-১৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, যার কারণে অনেক যাত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। তথ্য অনুযায়ী, এই ঘটনায় অন্ধকারের কারণে যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান খুবই সমস্যার মুখে পড়েছে। লোকজন ফোনে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে।