সংক্ষিপ্ত

কার্যত, অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। 

কার্যত, অবিশ্বাস্য এক ঘটনা। গোয়ালিয়রে ২৮ বছরের এক যুবক খুনের রহস্যের কিনারা করল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ।

ঠিক চারদিন আগে বুকে এবং মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় ইরফান খান নামে একজন তরুণ যুবকের দেহ। সেই খুনের তদন্তে নেমে এবার ইরফানের বাবাকেই গ্রেফতার করল পুলিশ।

জানা যাচ্ছে, ছেলেকে খুন করানোর জন্য সুপারি কিলারকে দায়িত্ব দেন হাসান খান। শুধু তাই নয়, খুনিদের তিনি দেন মোট ৫০ হাজার টাকা। তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ২৮ বছরের ইরফান নানারকম নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিল। প্রায় প্রতিদিনই গাঁজা-চরস খেতেন এবং খেলতেন জুয়াও।

টাকার জন্য নাকি বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি করতেন। পুলিশের কাছে মৃতের বাবা দাবি করেছেন, ছেলের জন্য গোটা পরিবার মানসিক অশান্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তাই ছেলেকে শেষ করে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নেন তিনি। পুলিশ দাবি করছে, হাসান বলেছে তিনি নাকি ছেলেকে নিয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। তাই দুই ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে ছেলেকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিয়েছেন পুরোপুরি।

জানা যাচ্ছে, পরিকল্পনা করেই গত ২১ অক্টোবর ছেলেকে একটি জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছিলেন হাসান। বাবার কথামতো ইরফান সেখানে চলেও যান। সেখানে এরপর আগে থেকেই হাজির ছিলেন অর্জুন ওরফে শরাফত খান এবং ভীম সিংহ পরিহার নামে দুই ভাড়াটে খুনি। অভিযোগ আসছে, তারা খুব কাছ থেকে ইরফানের মাথা এবং বুক লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। সেখানেই ইরফানের দেহ ফেলে তারা পালিয়ে যান।

খুনের তদন্তে নেমেই পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দেয় পুলিশ। কিন্তু মৃতের বাবাকে প্রশ্ন করার সময়ই হটাৎ খটকা লাগে তদন্তকারীদের। এরপর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই হাসান স্বীকার করেন যে, নিজের ছেলেকে খুনের কথা। তিনি জানান যে, দুজন ভাড়াটে খুনির সঙ্গে যোগাযোগ করে একমাত্র ছেলেকে খুন করিয়েছেন। খুন করতে মোট ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন দুই খুনিকে।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।