নিজের মানিব্যাগে রোজ কত টাকা নিয়ে বের হন মুকেশ অম্বানি? শুনলে রীতিমত চমকে যাবেন!
- FB
- TW
- Linkdin
সর্বশেষ হিসেব বলছে রিলায়েন্স অধিপতি মুকেশ অম্বানির সম্পত্তি ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। ফলস্বরূপ আম্বানির মোট সম্পত্তি ৯০ বিলিয়ন ডলার পেরিয়ে গিয়েছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স মোতাবেক, গত ২৪ ঘণ্টায় এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২.৩৫ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মূল সম্পত্তিতে এই বৃদ্ধির পর আম্বানির সম্পত্তি এখন বেড়ে হয়েছে ৯০.৬ বিলিয়ন ডলার। যার অর্থ হল শীর্ষ ১০ বিলিয়নেয়ারের তালিকা থেকে সামান্যই দূরে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি।
মুকেশ আম্বানি বর্তমানে বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি নিয়ে এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন। কিন্তু গোটা বিশ্বের ধনী তালিকার নিরিখে তিনি রয়েছেন ১৩ নম্বর স্থানে। প্রথম ১০ ধনী ব্যক্তির তালিকায় আসতে আম্বানিকে পার করতে হবে মাত্র তিন ধনকুবেরকে।
এ হেন রাঘব বোয়াল শিল্পপতির রোজকার জীবনযাত্রা চোখ কপালে তোলার মতই। শুধু তিনি নন, তাঁর পরিবারের প্রত্যেকেই স্বাভাবিকভাবেই বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত।
কিন্তু বাড়ি থেকে বের হলে মুকেশ অম্বানি নিজে কত টাকা নিয়ে বের হন। এ খবর কত জন জানেন। আমরা ভাবি এত ধনী ব্যক্তি নিশ্চয়ই লক্ষ লক্ষ টাকা সঙ্গে রাখেন। কিন্তু তা কি আদৌ ঠিক?
সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হলে কয়েকশো বা কয়েক হাজার টাকা নিয়ে বের হন। অথবা সঙ্গে থাকে ডেবিট ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু মুকেশ অম্বানির টাকা রাখার গল্প শুনলে চমকে যাবেন।
এক সম্মেলনে নিজেই একবার এই রহস্য তুলে ধরেছিলেন মুকেশ অম্বানি। উপস্থিত শ্রোতাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন যে বাইরে বের হলে কত টাকা নিয়ে তিনি যান। তাঁর কথা শুনে বেশ চমকে গিয়েছিলেন উপস্থিত সকলেই।
মুকেশ সবার সামনে যা বলেছিলেন, তা চমকে দেওয়ার মত যেমন, তেমনই বিশ্বাস করাও কঠিন। তবে টাকা সম্পর্কে তার অন্যরকম মূল্যবোধ রয়েছে। রিলায়েন্স গ্রুপের কর্ণধার মুকেশ আম্বানি মনে করেন টাকা হল পুঁজি, যা তাঁর কোম্পানিকে ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করে।
মুকেশ অম্বানি বলেছিলেন এই তথ্য খুব কম মানুষই জানেন, যে তিনি কোনও টাকা পয়সা নিয়ে বের হন না। ভারতের ধনকুবের মুকেশ আম্বানি কয়েক বিলিয়ন ডলারের মালিক হলেও, তাঁর পকেটে আসলে ফুটো পয়সাও থাকে না। তাঁর কাছে নগদ টাকা তেমন কোনো ব্যাপারই না।
তিনি একবার বলেছিলেন ‘সেই ছোটবেলা থেকেই আমি পকেটে কোনো অর্থ রাখি না, এখনো রাখি না। আমার কোনো ক্রেডিট কার্ড নেই। আমার আশপাশে সব সময় সহযোগীরা থাকেন। তাঁরাই বিল পরিশোধ করেন। এভাবেই আমার কাজ চলে যায়।’