সংক্ষিপ্ত

বেলা ১১টা অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে-র সঙ্গে সুর মিলিয়েই বেশ কয়েজন বিরোধী সাংসদ সরব হয়। নতুন পণ্যের ওপর জিএসটি আরোপের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড নিয়ে লোকসভার ওয়েলে নেমে আসে।

বাদল অধিবেশনের প্রথম দিলই উত্তাল সংসদ। ব্র্যান্ডেজ খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি নন ব্র্যান্ডেড খাবারের ওপর সদ্য পণ্য ও পরিষেবা কর অর্থাৎ জিএসটি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই নিয়েই বিরোধীরা প্রতিবাদে সরব হয়। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতেও সরব হয়েছে বিরোধী। আর সেই কারণে দফায় দফায় মুলতবি হয় লোকসভার অধিবেশন। 

এদিন বেলা ১১টা অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও ডিএমকে-র সঙ্গে সুর মিলিয়েই বেশ কয়েজন বিরোধী সাংসদ সরব হয়। নতুন পণ্যের ওপর জিএসটি আরোপের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড নিয়ে লোকসভার ওয়েলে নেমে আসে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার স্লোগান দিতে থাকে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল গব্বর সিং স্ট্রাইকস এগেইন। বিরোধীরা  জিএসটিকে গব্বর সিং-এর সঙ্গে তুলনা করেছে বলেও জানিয়েছে। 

এদিন স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধীদের বারবার শান্ত হওয়ার আবেদন জানিয়ে নিজেদের আসনে ফিরে যেতে বলেন। তিনি আরও বলেন সংসদে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আর সেই কারণেই সেই আলোচনায় সব দলের সাংসদদের অংশ নেওয়া জরুরি। 

বিরেধীরা স্পিকারের আবেদনে কান না দিয়ে টানা ১৫ মিনিট ধরে আন্দোলন চালিয়ে যায়। এই অবস্থায় দুপুর ২টোর সময় মুলতবি করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি ২৫ কেজির ওজনের কম প্যাকজাত ও লেবেল যুক্ত খাবারের ওপর পাঁচ শতাংশ হাতে জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। দই লস্যির ওপর জিএসটি চাপানো হয়েছে। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাংসদরা। 

অন্যদিকে অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনা বাহিনীতে নিয়োগের প্রতিবাদ জানিয়েছে এদিন রাজ্যসভায় আন্দোলন শুরু করে কংগ্রেস। বেশ কয়েকটি বিরোধী দল কংগ্রেসকে সমর্থনে যায়। বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের চাপে পড়ে এদিন রাজ্যসভার অধিবেশনও বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। অগ্নিপথ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বাম, এনসিপি ও কংগ্রেস সাংসদরা দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকারপক্ষ রাজি না হওয়ায় প্রতিবাদ আরও জোরদার হয়। শেষপর্যন্ত বেলা ২টো নাগাদ অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। 
 

লোকসভার মতই রাজ্যসাভাতেও সাংসদরা মূল্য বৃদ্ধি, জিএসটি ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করতে চান। আর সেই কারণে তাঁরা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানান। তাতে বেঙ্গাইয়া নায়ডু জানান তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কিন্তু তারপরেই বিরোধীরা হৈহট্টগোল করতে থাকে। তারা রান্নার গ্যাসের দাম আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দাবি জানায়। প্রবল হৈহট্টোগোলের পরই রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুলঃ

ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল মেডিকেল পরীক্ষা NEET পরীক্ষার্থীদের, চোখে জল ছাত্রীদের

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিংএর অভিযোগ, দেখে নিন তালিকায় রয়েছে কোন দলের জনপ্রতিনিধিরা

কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক দ্রৌপদী মুর্মু, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর ব্যক্তিগত জীবন মোটেও সুখের ছিল না